বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর আওয়ামী লীগ নেতা আবু সালেহ আর নেই

নিজস্ব  প্রতিনিধি, সাতকানিয়া »

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের  অন্যতম সংগঠক, ষাটের দশকের খ্যাতিমান ছাত্রনেতা, সাবেক গণ পরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি ৩ মেয়ে, বহু আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ২ আগস্ট  মঙ্গলবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আবু সালেহর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি,  আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব সিআইপি, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, সহসভাপতি মাস্টার ফরিদুল আলম মোজাম্মল হক, সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের গভীর শোক প্রকাশ করেন।

পৃথক বিবৃতিতে তারা গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা ও পরম করুণাময় আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

তারা বলেন, জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান আমৃত্যু অসাম্প্রদায়িকতা লালন করেছেন। তিনি লোভ-লালসা এবং সমস্ত প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে রাজনীতিকে জনসেবা হিসেবে জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন অকুতোভয় সৈনিককে হারাল।

বুধবার রাত সাড়ে আটটায় নগরীর কদম মোবারক মসজিদ মাঠে প্রথম এবং বৃহস্পতিবার সাতকানিয়া মডেল হাইস্কুল মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, আবু সালেহ ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে অংশগ্রহণ করে সাতকানিয়া-কুতুবদিয়া-চকরিয়া (এন-ই-১৬০) এলাকার এম.এন.এ নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।