পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাঁশখালী ও টেকনাফে দুই আসামি নিহত

সংবাদদাতা, বাঁশখালী ও টেকনাফ :

বাঁশখালীর  বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে ২ মাদ্রাসা ছাত্র খুনের ঘটনায় পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের ‘বন্দুক যুদ্ধে’  ১ আসামি নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায়  এ ঘটনা ঘটে। এতে ওসিসহ ৮ পুলিশও আহত হয়েছে । নিহত নুরুল আনচার প্রকাশ কালু (৪০) ইলশা গ্রামের দলিলুর রহমানের পুত্র । তিনি মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলার প্রধান আসামি মদিনা ব্রিক ফিল্ডের মালিক নুরম্নল আবছারের ছোট ভাই এবং মামলার ৩ নম্বর আসামি।  তার বিরম্নদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে বাঁশখালীসহ বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। পুলিশ তার কাছ থেকে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪টি কিরিচ উদ্ধার করেছে।

আহত ৮ পুলিশকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আজিজুল বারী, এস আই নাজমুল হক, এসআই মো. মুজিবুর রহমান, কনস্টেবল মো. শফিকুল ইসলাম, মো. রাসেল, ইয়ামিন আরাফাত, মেহেদী হাসান ।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে ৪০ জনের পুলিশদল বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে অভিযানে যান। পুলিশদল রাত ২টা নাগাদ ইলশা গ্রামে হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি মদিনা ব্রিক ফিল্ডের মালিক নুরুল আবছারের ব্রিক ফিল্ডে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্রিক ফিল্ড থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে গুলিবিনিময় বন্ধ হলে ব্রিক ফিল্ডের ভিতর থেকে হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি নুরুল আনচার প্রকাশ কালুর লাশ পাওয়া যায়। রাত ৩টা  থেকে ৪টা পর্যন্ত আহত পুলিশদের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার রাসেদুল করিম বলেন ৬ পুলিশকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া গেলেও ওসি মো. রেজাউল করিম মজুমদার ও এসআই নাজমুল হক ছররা গুলিতে জখমের পরিমাণ বেশি।

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে দুই ব্রিক ফিল্ডের মালিকদের দীর্ঘদিনের বিরোধে গত মঙ্গলবার (১২ মে) দিবাগত রাত ১০টায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় দুই মাদ্রাসা ছাত্র মাওলানা মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ (২৩) ও  মাওলানা হাফেজ ইব্রাহিম (২২)।

আহত বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল  করিম মজুমদার বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক পৃথক দুইটি মামলা হবে।

টেকনাফ

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২২) নিহত হয়েছে। নিহত যুবক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। জানা যায়, নিহত যুবক একজন দুর্ধষ সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ অন্তত অর্ধডজন মামলার আসামি

শনিবার (১৬ মে) ভোর রাত ৩টার দিকে হত্যাসহ অর্ধডজনের বেশী মামলার পলাতক আসামি সন্ত্রাসী আরিফ দলবল নিয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়া মৎস্যঘাট এলাকায় অবস্থানের খবরে পুলিশ সেখানে অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়।

একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে আরিফের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস তিনি বলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়া এলাকার সন্ত্রাসী আরিফের অবস্থানের খবর পেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ আত্নরক্ষার্থে গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে আরিফের গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন এএসআই রামধন দাশ, সাইফুদ্দিন ও কনস্টেবল রমন দাশ। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।