পিআইবির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের শুনানি পিছিয়েছে

মিতু হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক »
আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় পিবিআই-এর দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির সময় থাকলেও তা হয়নি। মিতুর বাবার করা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে।
আদালতের এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিতুর বাবা অনুপস্থিতির কারণে আদালত বরাবর হাজিরের জন্য সময়ের আবেদন করেন। এতে আদালত তার আর্জি মঞ্জুর করে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে।’
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তার বাবা মোশাররফ হোসেনের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। সেখানে থাকা তথ্য-উপাত্তসমূহ স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মামলায় একীভূত করতে আবেদন জানানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, মিতুর বাবার করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন বাবুল আক্তার। তার নিজের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ চেয়ে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তার নিজের করা মামলায় গ্রেফতার দেখাতে গত ৯ জানুয়ারি আদেশ দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় মিতুকে। এ ঘটনায় তখন বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। উক্ত মামলা ডিবি পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্ত শেষে সংস্থাটি গত বছরের ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সেটিতে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
পিবিআই এর ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে একই বছরের ১৫ অক্টোবর আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন বাবুল আক্তার। ৩ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সাথে নারাজি পিটিশনটিও খারিজ করে দেন ম্যাজিস্ট্রেট এবং মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়।
বাবুলের মামলায় পিবিআই যেদিন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সেদিন পাঁচলাইশ থানায় মিতু খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে বাবুলের শ্বশুর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন নতুন একটি মামলা করেন। শ্বশুরের করা সেই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারই পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মিতুকে লোক লাগিয়ে হত্যা করে।
একপর্যায়ে বাবুল আক্তারকে শ্বশুরের করা এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগের দিন ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। সেই থেকে তিনি ফেনী কারাগারে আছেন।