নগরবাসী মাতল কবিতা উৎসবে

মেলায় বইপ্রেমীর ভিড়

জমে উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় আয়েজিত অমর একুশে বইমেলা-২০২৩। গতকাল অসংখ্য বইপ্রেমী মেলায় ভিড় জমান। উপভোগ করেন কবিতা উৎসব। কবিতা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি আসাদ মান্নান বলেন, মানব সভ্যতার বিকাশ ও বিনির্মাণে কবিতার অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের কবিতার মূলধারা গণ-আন্দোলন, প্রতিবাদ ও মিছিলের উষ্ণ সাহচর্যে বেড়ে উঠেছে। বাংলা কবিতা তাই শিল্পে, প্রতিবাদে ও মানবিক বোধে উজ্জ্বল।

কবি আসাদ মান্নান আরও বলেন, জেলার কবিরা সাধারণভাবে প্রচারের আলোর বাইরে থাকেন। কিন্তু বাংলা কবিতায় তাঁদের অনেকেরই উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। উল্লেøখ্য এই চট্টগ্রামের কবি মাহবুবুল আলম চৌধুরীর একুশের প্রথম প্রতিবাদী কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ সারা বাংলায় আন্দোলনের ঝড় তুলেছিলো। তাদের কবিতা আরও বেশি করে পাঠকদের সামনে পৌঁছে দিতে হবে।

উৎসবের প্রধান বক্তা দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক বলেন, ইতিহাসের এক ভয়ংকর দুঃসময়ে কবিরা স্বৈরাচারী দুঃশাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যে অনন্য অবদান রেখেছেন তা আজ এক অনুস্মরণীয় মহান ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। নবীন কবিরা এ ধারা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার বলেন, আমরা নিজের দেশ এবং বিশ্বের মানবিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংকট অবসানে কবিতার মাধ্যমে নতুন নতুন মর্মবাণী তুলে ধরেছি। আমরা জানি সব কবির কর্তব্য মানুষের জন্য অনন্য সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন রচনা করা। বই হোক আমাদের নিত্য সঙ্গী।

কবিতা উৎসবে সিরিয়া ও তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারানোদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। উৎসবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলা কমিটির আহ্বায়ক ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু।

এতে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ড.আবদুল্লাহ আল মামুন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ সলিম উল্ল্যাহ, নুরুল আমিন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আনজুমান আরা, হুরে আরা বেগম এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক আবদুল হালিম দোভাষ।

এছাড়া দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক মেলায় প্রেস ক্লাব স্টল উদ্বোধন এবং প্রজ্ঞালোক প্রকাশনীর প্রকাশিত কবি চাঁদ সুলতানা নকশীর কবিতার বই মিলনান্ত নীলে’র মোড়ক উন্মোচন করেন।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল স্ব-রচিত কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিজ্ঞপ্তি