দ্রুত খুলে দেয়া হোক নগরীর মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক

চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক। নগরীর মুরাদপুরে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বন্ধ রয়েছে। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনর্খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।
মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক দিয়ে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা এবং নগরীর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের লোকজন চলাচল করেন। নগরীর নিউমার্কেট থেকে মুরাদপুর হয়ে হাটহাজারী ও রাউজানসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিরতিহীন বাস চলাচল করে। ওইসব বাস এখন মুরাদপুর মোড় থেকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে ছেড়ে যাচ্ছে। এতে যাত্রীদের সময় ও অর্থের ব্যয় বেড়েছে।
ইতোমধ্যে কালভার্টটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে আরও একমাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। গত ১৭ জানুয়ারি পুরনো কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ওইদিন থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কালভার্টটির নিচে চট্টগ্রাম ওয়াসার পাঁচটি পাইপলাইন ছিল। কালভার্ট নির্মাণের সুবিধার্থে পাইপলাইনগুলো দুই পাশ থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়। কাটা পাইপলাইন পুনরায় জোড়া লাগানো হবে। এতে কমপক্ষে একমাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়াসা। পাইপলাইন জোড়া লাগানোর পর কালভার্ট দিয়ে যান চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
কালভার্টটি নির্মাণে বেশ লম্বা সময় নেওয়া হয়েছে। নির্মাণ শুরুর আগে বলা হয়েছিলো দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। দুই মাসেও কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ার জন্য কাজের ধীরগতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় ও যাতায়াতকারীরা। তবে যথাসময়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা, গ্যাসের পাইপ লাইন ও বিটিসিএল পোল না সরানোর কারণে নির্ধারিত সময়ে সড়ক ও কালভার্টের কাজ শেষ করে সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড ।
এখন কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ওয়াসার পাইপলাইন জোড়া লাগানোর কাজ শেষ না হওয়ায় চার মাসের কষ্ট ও দুর্ভোগ আরও দীর্ঘ হচ্ছে। চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এখন একটাই দাবি দ্রুত বাকি কাজ সম্পন্ন করে সড়কটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হোক।