দেশে চীনের নতুন টিকা ট্রায়ালের অনুমোদন

সুপ্রভাত ডেস্ক »

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল অব দ্য বায়োলজি চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সের (আইএমবিক্যামস) ভেরো সেল নামের একটি টিকার ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর’বি) অধীনে এই ট্রায়াল হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

২০২০ সালের আগস্টে চাইনিজ একাডেমি ও আইসিডিডিআরবি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করে।

ট্রায়াল পরিচালনার জন্য আইসিডিডিআরবিকে প্রায় এক দশমিক শূন্য পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে চাইনিজ একাডেমি। এ ছাড়া, ওয়ান ফার্মাকে স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় একাডেমি।

এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশেরও কম মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে টিকাদান কর্মসূচি  শুরু হয়। তবে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় বাধার মুখে পড়ে এ কর্মসূচি।

ওয়ান ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর গতকাল জানান, ‘দুই সপ্তাহের মধ্যেই ভেরো সেলের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের সাবেক ডিন অধ্যাপক এবিএম ফারুক বলছেন, ট্রায়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

জীবনযাপন পদ্ধতি, জলবায়ু, দৈনন্দিন অভ্যাস ও মানুষের আচরণ একেক দেশে একেক রকম হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হলে, এ টিকা আমাদের জনগণের ওপর কেমন কাজ করে তা জানতে পারব আমরা। এর কার্যকারিতা, এটি কতটা ভালো কাজ করে এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো কী— তাও জানা যাবে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত গাইডলাইন অনুসরণ করে এ ট্রায়াল পরিচালনা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর কোনো ব্যতিক্রম গ্রহণযোগ্য হবে না।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘ট্রায়াল সফল হলে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে। আরও আগেই এ অনুমোদন দেওয়া উচিত ছিল সরকারের। একেবারে কিছু না হওয়ার চেয়ে দেরিতে শুরু হওয়াও ভালো। ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা যুক্ত থাকবেন। ফলে ভবিষ্যতে টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে দক্ষতা তৈরি হবে।’

চলতি বছরের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়াতে এ টিকার তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়।

সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার