দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের রুখে দাঁড়াতে হব

মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যেখানে উন্নয়ন সেখানেই আঘাত হানছে স্বাধীনতা বিরোধীরা। মুজিব শতবর্ষে ভাস্কর্যে হামলাকারীরা একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি। তাদের ঠেকাতে হবে। তাদের আস্ফালন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ জনগণকে বিস্মিত করেছে। ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। এ পবিত্র ধর্ম নিয়ে যারা অপরাজনীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আবার জেগে উঠতে হবে।
মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় এ কথা বলেন। সভায় সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা মহানগর আওয়ামী লীগের মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করেছি। তিনি বলেন, কিছু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পবিত্র ধর্মকে অপব্যবহার করে ফতোয়া জারি করছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। আমরা এ রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম ১৯৭১ সালেও। সেদিন আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই বাংলার মাটিতে ধর্মের নামে কোনো অপশক্তিকে স্বাধীনতার মর্মবাণীকে অর্থহীন করতে দেয়া হবে না। ওই অপশক্তির চক্রান্তের বিরুদ্ধে মহানগর আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি আগামী ৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৩টায় আন্দরকিল্লা চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদী সমাবেশ এবং সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড এবং থানা থেকে স্ব স্ব ব্যানার নিয়ে যথাসময়ে সকলকে যোগদানের আহ্বান জানান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী লড়াই ও দ্রোহে চট্টগ্রাম মহানগর মহানগর আওয়ামী লীগ সামনের কাতারে ছিল এবং থাকবেই। আমাদের রক্ষাকবচ সাংগঠনিক ভিত্তি। তাই তৃণমূল থেকে যারা ওঠে আসবেন, তারা আমাদের দলের সম্পদ।
সভার সিদ্ধান্ত মতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। নগরীর ৭টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে অলংকার মোড়, বড়পোলস্থ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য চত্বর, বহদ্দারহাট মোড়, অক্সিজেন মোড়, ইপিজেড চত্বর, কর্ণফুলি নতুন ব্রিজ ও দেওয়ানহাট চত্বর। এছাড়া ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভা, ১৫ ডিসেম্বর প্রয়াত নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সকাল ৯টায় খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সকাল ১০টায় মরহুমের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সকাল ১১টায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট-চট্টগ্রামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং মহানগর আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় বিজয় দিবসের অনু অভিন্ন কর্মসূচি পালনের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন নির্দেশনা দিয়েছেন।
সভার প্রারম্ভে সদ্যপ্রয়াত মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার আলহাজ এম এ রশিদসহ যারা ইতোপূর্বে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম জহিরুল আলম দোভাষ, আলহাজ আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকম-লীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজি মো. হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, জালাল উদ্দিন ইকবাল, জোবাইদা নার্গিস খান, দেবাশীষ গুহ বুলবুল, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, জহরলাল হাজারী, কার্যনির্বাহী সদস্য হাজি মো. এয়াকুব, আলহাজ নুরুল আবছার মিয়া, হাজি নুরুল আমিন শান্তি, সৈয়দ আমিনুল হক, আলহাজ পেয়ার মোহাম্মদ, গাজী শফিউল আজিম, হাজি দোস্ত মোহাম্মদ, জাফর আলম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, বখতিয়ার উদ্দিন খান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, আহমদ ইলিয়াছ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আবদুল লতিফ টিপু, হাজি মো. ইলিয়াছ, নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, হাজি বেলাল আহমেদ প্রমুখ।