দু’বছর ধরে একই বর্ষে আইইআর শিক্ষার্থীরা

চার দফা দাবিতে স্মারকলিপি

চবি সংবাদদাতা :
দুই বছর পার হয়ে গেছে। তবুও উদ্যোগ নেই প্রথম বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের। দুই বছর ধরেই প্রথম বর্ষে আটকে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইআর) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে সমাধানের আশ্বাসে তারা উপাচার্য বরাবর প্রক্টরের মাধ্যমে চার দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
দাবিগুলো হলো, জানুয়ারির ১০ তারিখের মধ্যে পরীক্ষার রুটিন দিতে হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পর প্রয়োজনে অনলাইনে দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু করতে হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে হবে এবং ইনস্টিটিউটের সেশনজট নিরসনে শিক্ষক নিয়োগ, ক্লাসরুম বৃদ্ধিসহ যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও আমাদের ইনস্টিটিউট বলছে তাদের পরীক্ষা নিতে সমস্যা নাই। প্রশাসন আমাদের থেকে দুই দিন সময় নিয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা দু’দিনের জন্য অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিভিন্ন কারণে আমাদের ২০১৯ সালের পরীক্ষা পিছিয়ে গত বছরের ২৫ মার্চ পরীক্ষার দিন ধার্য করে রুটিন প্রদান করা হয়। কিন্তু ১৭ তারিখ থেকেই করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা গত ১৮ অক্টোবর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গত নভেম্বরে আমরা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে পরীক্ষার ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ইন্সটিটিউট আমাদের জানায় ২০১৮-১৯ সেশনের পরীক্ষার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। অথচ সংস্কৃত বিভাগ গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু আমাদের পরীক্ষার রুটিন, প্রশ্নসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন আছে, সেহেতু এখন পরীক্ষা না নেওয়াকে আমরা ইনস্টিটিউটের অবহেলা হিসাবেই দেখি। ইতিমধ্যে প্রথম বর্ষে আমরা ২৪ মাস পার করেছি। এ ব্যাপারে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা ব্যাপারটা নিরসনের চেষ্টা করছি।
আইইআর’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ বলেন, আমরা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি পেলে আমরা পরীক্ষা নিতে পারবো।