চমেক হাসপাতাল : যে কারণে চালু হচ্ছে না কোভিড কাউন্টার

রুমন ভট্টাচার্য :
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগীদের জন্য স্থাপন করা কোভিড কাউন্টারটি ফাঁকা পড়ে আছে। লোকবল সংকট ও আর্থিক সমস্যার কারণে কাউন্টারটি চালু করা যাচ্ছে না। কবে নাগাদ চালু করা হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তবে চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে এমনটাই বলছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, জরুরি বিভাগে ঢুকতে ডানপাশে স্থাপন করা কোভিড কাউন্টারটি ফাঁকা পড়ে আছে। কাচের উপর সাদা কাগজে বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে কোভিড কাউন্টার, শুধুমাত্র কোভিড পজেটিভ রোগীর জন্য। কাউন্টারের সামনে দৃশ্যমান দুটি ময়লা বিন। পাশের টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন। নারী-পুরুষ সকলেই একই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। কোভিড ও নন কোভিড রোগী দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও এ বিষয়ে তেমন কোনো তদারকি ছিল না।
টিকিট কাউন্টারে কর্মরতরা জানান, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের একই কাউন্টার থেকেই টিকিট দেওয়া হচ্ছে শুরু থেকেই। পাশে কোভিড রোগীদের জন্য নতুন একটি কাউন্টার করা হয়েছে কিন্তু সেটি চালু হয়নি।
কাউন্টারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘প্রায় দু’সপ্তাহ হচ্ছে আলাদা কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। কবে নাগাদ চালু করা হবে বুঝতে পারছি না। এটি চালু হলে আমাদের উপর চাপ ও ঝুঁকি দুটোই কমত।’
লাইনে দাঁড়ানো রানা চৌধুরী নামের একজন বলেন, ‘কোভিড ও ননকোভিড সবাই একই জায়গায় এবং একই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন। এখানে কে পজেটিভ আর কে নেগেটিভ দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই। কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা একটি কাউন্টার করা হয়েছে দেখলাম কিন্তু সেখানে কেউ নেই। লাইনে দাঁড়ানো সকলেই সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে।’
সামাজিক দূরত্ব না থাকায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির কথা বললেন আগ্রাবাদ থেকে আসা মো. সায়েম ও ফটিকছড়ি থেকে আসা হোসনে আরাও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. আফতাবুল ইসলাম সুপ্রভাতকে বলেন, ‘কোভিড পজেটিভ রোগীদের ভর্তির জন্য আলাদা একটি কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু লোকবল সংকট ও অর্থনৈতিক কারণে এটি চালু করতে পারিনি।’ তবে এটি চালু করার কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানান তিনি।