চমেকের আইসিইউ চালু হোক শীঘ্রই

প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও শুধু পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নতুন ৩০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) পুরোপুরি চালু করা যাচ্ছে না এখনো। বর্তমানে চালু আছে ২৫টির মতো শয্যা। শয্যাসংকটের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স ও আইসিইউ-কেন্দ্রিক আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামেরও ঘাটতি রয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি হাসপাতালের নিচতলায় আগের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নতুন করে ৩০ শয্যার আইসিইউ চালু করা হয়। নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন নতুন এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন। হাসপাতাল ভবনের চতুর্থ তলায় ২০ শয্যার আরেকটি আইসিইউ ওয়ার্ড আগে থেকেই চালু ছিল। সেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ জন রোগীকে শয্যার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। অবশ্য সেখানেও দুটি শয্যা নষ্ট রয়েছে।
চিকিৎসক থেকে শুরু করে রোগীরাও ধারণা করেছিলেন নতুন ইউনিট পুরোপুরি চালু হলে আইসিইউ সংকট অনেকটা কেটে যাবে। নতুন ইউনিটে ২৫টি শয্যা চালু থাকে। ফলে অপেক্ষার তালিকা কিছুটা কমেছে। এখন দিনে ৫ থেকে ১০ জনের বেশি রোগী অপেক্ষায় থাকেন না। তবে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসক ও নার্সের সংকট।
প্রতি ইউনিটের জন্য সার্বক্ষণিক দুজন করে চারজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দরকার হয় এক পালায়। তিন পালায় দরকার হচ্ছে ১২ জন। আবার রাতের পালায় যে চারজন কাজ করবেন, তাঁদের পরদিন ছুটি থাকে। আইসিইউর রোগীদের সেবার প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে নার্সিং। প্রতি দুই রোগীর জন্য অন্তত একজন নার্সের দরকার হয়। এ কারণে ওপরের ২০ শয্যার জন্য তিন পালায় ৪০ জনের মতো নার্স দরকার হয়। নিচের ৩০ শয্যার জন্য ৫০ জনের বেশি নার্স দরকার। কারণ, অনেকের মাতৃত্বকালীনসহ নানা ছুটি থাকে। কিন্তু এখন ওপরে ৩০ ও নিচে রয়েছেন ২৭ জন নার্স।
এর বাইরে আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতিরও ঘাটতি রয়েছে।
দিনদিন জটিল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আইসিইউর মতো পরিচর্যার প্রয়োজন। প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই সেবা অনেক ব্যয়বহুল যা সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত, দরিদ্র লোকদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাদের জন্য একমাত্র ভরসা হলো সরকারি হাসপাতাল। আর সে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যাও চাহিদার তুলনায় কম। তাই মানবিক কারণে আমরা অনুরোধ করব যাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন আইসিইউ ইউনিটটি যেন দ্রুত চালু করা হয়।