চট্টগ্রামে ৮৭ দিনে ছয় হাজার পার হলো করোনা আক্রান্ত

বাঁশখালীতে একদিনে ২৯ জন শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামে গত ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর গতকাল ১৯ জুন ৮৭তম দিনে এসে সেই আক্রান্ত ছয় হাজার পার করলো। নতুন করে ১৮৭ জন শনাক্তের মাধ্যমে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌছে ৬ হাজার ৯৮ । বাঁশখালীতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে তিনজন এবং সুস্থ হয়েছেন ২০ জন। এদিকে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গত শুক্রবার (১৯ জুন) ৭৭৩টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৮৭ জনের। এই ১৮৭ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৯২ জন ও উপজেলার ৯৫ জন। ফলে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছে ১৩৯ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৫৮৮ জন।

সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৬৯টি নমুনার মধ্যে ৪২টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৪২ জনের মধ্যে ২০ জন মহানগরের এবং ২২ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৪টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪৯ জনের, এদের মধ্যে ১৯ জন মহানগরীর এবং ৩০ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ২১৭টি নমুনার মধ্যে ৫৪ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ৫৪ জনের মধ্যে ৪৯ জন নগরীর এবং ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৪টি নমুনার মধ্যে ৩৯ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৩৯ জনের মধ্যে ৪ জন মহানগরীর এবং ৩৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৯টি নমুনার মধ্যে তিনটি পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এই তিনজনই উপজেলার বাসিন্দা।  অপরদিকে গত শুক্রবার ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৯৫ জনের মধ্যে সাতকানিয়ায় ৪ জন, বাঁশখালীতে ২৯ জন, আনোয়ারায় ৫ জন, চন্দনাইশে ৬ জন, পটিয়ায় ১৫ জন, বোয়ালখালীতে একজন, রাঙ্গুনিয়ায় একজন, রাউজানে ১১ জন, ফটিকছড়িতে ১০ জন, হাটহাজারিতে ১২ জন, ও সীতাকুণ্ডে একজন রয়েছেন।

এদিকে গত শুক্রবার নতুন করে ১৮৭ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট  রোগীর সংখ্যা হলো ৬,০৯৮ জন। এর আগে ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন,  ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন,  ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন,  ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।