চট্টগ্রামে পাঁচ হাজার অতিক্রম করলো করোনা রোগী, একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত

লাশ সৎকারে নিয়োজিত চট্টগ্রাম কোয়ান্টামের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী

২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ২৬৯, মারা গেল ৬ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক<

একদিনে আক্রান্তের হিসেবে রেকর্ড গড়লো চট্টগ্রাম। গতকাল একদিনে চট্টগ্রামে ২৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রানেত্মর হিসেব ছিল গত ২০ মে ২৬০ জন। শনিবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৫৬টি নমুনার মধ্যে ২৬৯ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। আর নতুন করে ২৬৯ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রানেত্মর সংখ্যা দাড়ালো ৫ হাজার ৮৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে ৩৭১ জন এবং মারা গিয়েছে ১১৭ জন। এরমধ্যে একদিনেই মারা গেছে ছয় জন। এদিকে নতুন আক্রান্ত হওয়া ২৬৯ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২০৮ জন ও বিভিন্ন উপজেলার রয়েছে ৬১ জন।

সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৩২টি নমুনার মধ্যে ৪১টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৪১ জনের মধ্যে ২২ জন মহানগরের এবং ১৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ১৪ জনের, এই ১৪ জনের মধ্যে একজন মহানগরীর এবং বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩০৪টি নমুনার মধ্যে ১১১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ১১১ জনের মধ্যে ১০৭ জন নগরীর এবং ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৩টি নমুনার মধ্যে ৪৫ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৪৫ জনের মধ্যে ২২ জন মহানগরীর এবং ২৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১২ জনের নমুনায় ২ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ১২৬ জনের নমুনায় ৫৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে নগরীর বাসিন্দা।

উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৬১ জনের মধ্যে লোহাগাড়ার ২ জন, আনোয়ারার ১০ জন, চন্দনাইশের চারজন, পটিয়ার তিনজন, বোয়ালখালীর ১০ জন, রাউজানের ৭ জন, হাটহাজারির ১৪ জন, সীতাকুন্ডের ১০ জন ও মিরসরাইয়ের একজন রয়েছেন।

এদিকে গতকাল শনিবার নতুন করে ২৬৯ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৫,০৮৪ জন। এর আগে ১২ জুন ২২২ জন,  ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন,  ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।