চট্টগ্রামে ঈদের আগের দিন শনাক্ত ৬৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৯টি নমুনার মধ্যে ৩০ জন করোনা পজিটিভ। গাণিতিক হিসেবে পজিটিভের হার ৭৭ শতাংশ। তবে এই ৭৭ শতাংশ দিনশেষে কমে গেছে, কারণ ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২০১টি নমুনার মধ্যে ৩৫ জন করোনায় শনাক্ত হয়ে যাওয়া, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়েরর ২২টি নমুনার মধ্যে কেউ শনাক্ত না হওয়া এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২টি নমুনার মধ্যে কেউ শনাক্ত হয়নি।

এতে গতকাল রোববার ২৬৪টি নমুনার মধ্যে ৬৫ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় করোনা পজিটিভের হার ২৫ শতাংশ। এদিকে গতকাল নতুন করে ৬৫ জন শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে মোট আক্রানেত্মর সংখ্যা ১,৬৭৬ জন এবং এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১৪৬ জন ও মারা গেছেন ৫২ জন। রোববার নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৬৫ জনের মধ্যে মহানগরীর ৪৪ জন ও মহানগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার ২১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২০১টি নমুনার মধ্যে ৩৫টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৩৫টি পজিটিভের মধ্যে ১৬টি মহানগরীর ও ১৯টি বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার ৩৯ জনের নমুনার মধ্যে ৩০ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে মহানগরীর ২৮ জন ও উপজেলার রয়েছে ২ জন। ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২টি নমুনায় সবগুলো নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২টি নমুনার সবগুলো নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।

যেসব উপজেলার ২১ জন
এদিকে গতকাল বিভিন্ন উপজেলার করোনা আক্রানত্ম হওয়া ২১ জনের মধ্যে বাঁশখালীর ৪ জন, পটিয়ার তিনজন, বোয়ালখালীর দুইজন, হাটহাজারির চারজন, সীতাকুন্ডের সাত জন ও মিরসরাইয়ের একজন রয়েছেন।
এদিকে আজ নতুন করে ৬৫ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১,৬৭৬ জন। এর আগে ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রানত্ম হয়েছিল।