করোনা : চট্টগ্রামে আক্রান্তের হার কমে ১৭.৪০ শতাংশ

Coronavirus illustration of a virus on a turquoise background 3d render
২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১৯২, মারা গেল ২, সুস্থ ৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা শনাক্ত হলো ১৯২ জন। শুক্রবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও শেভরন ল্যাবে ১০৯৯টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৯২ জনের।  আক্রান্তদের মধ্যে ১৫৮ জন মহানগরীর ও উপজেলার রয়েছে ৩৪ জন। এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৫ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ২১৫ জন। ২৪ ঘন্টায় মরা গেছে দুই জন এবং সুস্থ হয়েছে ৫ জন,  এতে এপর্যন্ত মোট সুস’ হয়েছেন ১,৩৪৫ জন।

এদিকে গতকাল ১০৯৯টি নমুনার মধ্যে ১৯২ জন আক্রান্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে আক্রানেত্মর হার দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর আগে এই আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে কমে আসছিল। গত মাসের ২৮ জুন আক্রান্তের হার ৩৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। এরপর থেকেই তা কমতে থাকে। এর পর থেকে আক্রান্তের হার ২০ থেকে ২২ শতাংশের মধ্যে উঠা-নামা করছিল। কিন্তু গতকাল তা ১৭ শতাংশে নেমে আসে।

এদিকে সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২২৭ টি নমুনার মধ্যে ২৫টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৬টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪৫ জনের। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৩৬টি নমুনার মধ্যে ১৪ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২২টি নমুনার মধ্যে ১০ জন পজিটিভ হয়েছে। শেভরনে ১৭৫টি নমুনার মধ্যে ৫৮ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৭৫টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৩৯ জনের। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবের কোনো রিপার্ট পাওয়া যায়নি।

এদিকে গত শুক্রবার নতুন করে ১৯২ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১১,৩৮৫ জন। এর আগে ৯ জুলাই ১৬২ জন, ৮ জুলাই ২৫৯ জন, ৭ জুলাই ২৯৫ জন, ৬ জুলাই ২৯৭ জন, ৫ জুলাই ২৯২ জন, ৪ জুলাই ২২০ জন, ৩ জুলাই ২৬৩ জন, ২ জুলাই ২৮২ জন, ১ জুলাই ২৭১ জন, ৩০ জুন ৩৭২ জন, ২৯ জুন ৪৪৫ জন,  ২৮ জুন ৩৪৬, ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন,  ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন,  ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন,  ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন,  ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।