কিট নিয়ে প্রশ্ন তুলে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করল চবি

চবিতে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবের উদ্বোধনের পর ফিতা কেটে প্রবেশ করেন উপাচার্য ড. প্রফেসর শিরীণ আখতার

সুপ্রভাত ডেস্ক :
সরবরাহ করা কিটে ‘সমস্যার’ পাওয়ার কথা জানিয়ে নিজেদের ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা আপাতত বন্ধ রেখেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
তাদের যে কিটগুলো দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ফেরত পাঠিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নতুন কিট পেলে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ টেস্টিং ল্যাবের ইনচার্জ প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
কোভিড-১৯ মহামারীতে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের গবেষণাগারে সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়।
গত সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নমুনা পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল।
তৃতীয় দিন ওই ল্যাবে পরীক্ষা করা হলেও তার ফল প্রকাশ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও করোনভাইরাস ডিটেকশন কমিটির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো কিটগুলোতে ‘সমস্যা থাকায়’ সেগুলো ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ল্যাব ইনচার্জ ড. মনিরুল বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো কিটগুলো মেশিনে দেওয়া হলে সব নমুনার ফলই পজিটিভ আসছিল। এতে সংশ্নিষ্টদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিলে কিটগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
“গতকাল এজন্য এই ল্যাবের দুটি পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হলেও কিটের কারণে ফলাফল দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা আপাতত পরীক্ষা বন্ধ রেখেছি।
“স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন কিট হস্তান্তর করলে আমরা আবারও করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু করব।”
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালককে ফোন করা হলেও তারা তা ধরেননি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ফটিকছড়ি, রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল।
এই ল্যাবে দৈনিক পাঁচশ নমুনা পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।