কমলো নমুনা, কমলো শনাক্ত

৮৯০ নমুনায় ১৫৯ পজিটিভ, মারা গেলেন ৫ জন #

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে গত কিছুদিন ধরে ৯০০ এর বেশি নমুনার পরীক্ষা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা হয়েছিল ১০৯৩টি নমুনা। এর আগে বুধবার হয়েছিল ৯৭১টি, মঙ্গলবার ৯৯৯টি, সোমবার ৯২৬টি এবং রোববার ১০৪৯টি। আর এসব নমুনায় প্রতিদিন ২০০ এর বেশি ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু গতকাল শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৮৯০টি। এতে করোনায় পজিটিভের সংখ্যাও কমে গেছে। এসময়ে যেখানে পরীক্ষা বাড়ার কথা সেখানে আরো কমে গেছে। শুক্রবার (২৬ জুন) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৮৯০ টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৫৯ জনের। এই ১৫৯ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৮২ জন ও উপজেলার ৭৭ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৬২৫ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৬৫ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৯০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছেন পাঁচ জন ।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৭৮টি নমুনার মধ্যে ৬২টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৬২ জনের মধ্যে ৩৪ জন মহানগরের এবং ২৮ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৯টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ২৪ জনের, এদের মধ্যে ৭ জন নগরীর এবং ১৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১৩০টি নমুনার মধ্যে ২১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ২১ জনের মধ্যে ১৯ জন নগরীর এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫০টি নমুনার মধ্যে ৪৩ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৪৩ জনের মধ্যে ১৫ জন মহানগরীর এবং ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ৮৩টি নমুনার মধ্যে ৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে, এদের সবাই মহানগরীর বাসিন্দা। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১০ জনের নমুনার মধ্যে দুই জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই দুই জনের সবাইর উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে গতকাল শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৭৭ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৩ জন, সাতকানিয়ায় ৬ জন, বাঁশখালীতে ৭ জন, আনোয়ারায় ৮ জন, চন্দনাইশে ২ জন, পটিয়ায় ৪ জন, বোয়ালখালীতে ৭ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন, রাউজানে ৬ জন, ফটিকছড়িতে ৬ জন, হাটহাজারিতে ১১ জন, সীতাকুন্ডে ১০ জন ও মিরসরাইয়ে ৫ জন রয়েছেন।
এদিকে গত শুক্রবার বৃহস্পতিবার নতুন করে ১৫৯ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৭,৬২৫ জন। এর আগে ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়।