এপ্রিলের ধাক্কা সামলে এগুচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর

এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে ৫৪ শতাংশ কনটেইনার বেশি হ্যান্ডেলিং হয়েছে :

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনায় এপ্রিলের ধাক্কা সামলে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষে ১৭ বছরের মধ্যে একক কোনো মাসে সবচেয়ে কম কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছিল। মে মাসে তা ৭১ হাজার ৮৮০টি কনটেইনার বেড়েছে। এপ্রিলে হ্যান্ডেলিং হয়েছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৯২১ একক কনটেইনার অপরদিকে গত মাসে ( মে ) হ্যান্ডেলিং হয় ২ লাখ ৪ হাজারর ৮০১ একক কনটেইনার। গাণিতিক হিসেবে গত মাসের চেয়ে যা ৫৪ শতাংশ বেশি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম বলেন, বন্দরের ইয়ার্ডের ভেতর জমে থাকা কনটেইনারগুলোতে সরাতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের পাশাপাশি গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা চালু হওয়ায় স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে পণ্য হ্যান্ডেলিং কার্যক্রম। এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধির পর চলতি জুন মাসে তা আরো বাড়বে।
এদিকে করোনার প্রভাবে গত এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিং প্রায় ধস নেমেছিল। অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে দিয়ে দেশের মোট আমদানির ৮২ শতাংশ আসে; আর রপ্তানি পণ্যের ৯১ শতাংশই যায় এই বন্দর দিয়ে।
ব্যবসায়ীদের মতে, গত ২৬ এপ্রিল থেকে সরকার কারখানা খুলে দেয়ার কারণে মে মাসে আমদানী রপ্তানি কার্যক্রম বেড়েছে। জুনে এসে তা আরো বাড়বে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার ধারনক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮ একক কনটেইনার। কিন্তু ২৬ মার্চের পর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি কখনো কখনো ৫০০তে নিচে নেমে গিয়েছিল। আর ডেলিভারি কমে যাওয়ায় ইমপোর্ট কনটেইনারের কারণে বন্দরের ধারনক্ষমতা পার হয়ে তা ৪৯ হাজার ৯৭৪ পর্যন্ত পৌছেছিল। বন্দরের পক্ষ থেকে জাহাজ থেকে রেশনিং কমে কনটেইনার নামানো চালু করে প্রায় অচল হয়ে যাওয়া বন্দরকে কোনোভাবে সচল রাখে। পরবর্তীতে নৌ প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব চট্টগ্রাম বন্দরে এসে সমন্বয় সভা করে এবং সব ধরনের পণ্য অফডকে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। একইসাথে শিল্প কারখানাগুলো সচল হয়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর। এই বন্দর দিয়ে দেশের ৯৩ শতাংশ পণ্য আমদানী রপ্তানি হয়ে থাকে। কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৪ তম।