ইউরোর সেরা খেলোয়াড় দোন্নারুম্মা

গোল্ডেন বুট রোনালদোর

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :

টুর্নামেন্ট জুড়ে পোস্টের নিচে ছিলেন দুর্ভেদ্য দেয়াল হয়ে। ওয়েম্বলির ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারেও আলো ছড়ালেন। দুই শট ঠেকিয়ে ইতালির ইউরো জয়ের নায়ক জানলুইজি দোন্নারুম্মা পেলেন মুঠোভরে। ২২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক জিতেছেন প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে গত রোববার নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে ইতালি। ইংল্যান্ডের জর্ডান স্যানচো ও বুকায়ো সাকার শট আটকান দোন্নারুম্মা। গত মাসে পিএসজিতে নাম লেখানো দোন্নারুম্মা ইতালির জার্সিতে খেলেছেন ৩৩টি ম্যাচ। এইবারের ইউরোতে সব মিলিয়ে খেলেছেন ৭১৯ মিনিট, ক্লিনশিট নিয়ে ফিরেছেন তিন ম্যাচে। গোল হজম করেছেন মাত্র ৪টি। সেভ করেছেন ৯টি। প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে পুরস্কারটি জিতলেন তিনি।

পুরো টুর্নামেন্টে কেবল গ্রুপ পর্বে ওয়েলসের বিপক্ষে ইতালির ১-০ গোলে জেতা ম্যাচেই পুরোপুরি খেলেননি দোন্নারুম্মা। ওই ম্যাচে ৭৯তম মিনিটে তাকে তুলে নিয়ে সালভাতোরে সিরিগুকে বদলি নামিয়েছিলেন ইতালি কোচ রবের্তো মানচিনি। তবে সব মিলিয়ে দোন্নারুমা এবারের আসরে যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি সময় খেলেছেন।

গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচেই দোন্নারুম্মা পরাস্ত হননি। ইতালিও হজম করেনি গোল। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে দোন্নারুম্মা ও ইতালি প্রথম গোল হজম করে। সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচ পর এবং এক হাজার মিনিটেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটাই ছিল ইতালির জালে প্রথম গোল! সেমিফাইনালেও ইতালির জয়ের নায়কের একজন ছিলেন দোন্নারুম্মা। ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে দলের ৪-২ ব্যবধানের জয়ে স্পেনের আলভারো মোরাতার শট ফিরিয়েছিলেন তিনি। টুর্নামেন্ট জুড়ে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্স, দলের পারফরম্যান্সে সেটার প্রভাব এবং ইতিবাচক মানসিকতা এসব বিবেচনায় নিয়ে টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষক দল সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করেছেন।

এদিকে দলীয়ভাবে আসরটা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য হতাশায় শেষ হয়েছে। কষ্টেসৃষ্টে ‘মৃত্যুকূপ’ পেরুনোর পর নকআউট পর্বের শুরুতেই থামে পর্তুগালের পথচলা। ইউরোপ সেরা মুকুট ধরে রাখার স্বপ্নও ভাঙে রোনালদোদের। তবে চার ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে ঠিকই এবারের প্রতিযোগিতার গোল্ডেন বুট জিতেছেন এই ফরোয়ার্ড।

প্রথম ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে দলের ৩-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে করেছিলেন জোড়া গোল। জার্মানির কাছে ৪-২ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচেও পর্তুগালকে প্রথম এগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর গ্রুপ পর্বে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-২ ড্র করে করেছিলেন দুই গোল। খবর বিডিনিউজের