‘আশার বাতিঘর’ পিসিটি পরিদর্শন করলেন সৌদি মন্ত্রী

সুপ্রভাত ডেস্ক »

‘আশার বাতিঘর’খ্যাত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিদর্শন করেছেন সৌদি আরবের বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল ফালি। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি পিসিটিতে আসেন। সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল প্রমুখ।

সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমার জন্য আজ খুবই আনন্দের দিন।মাননীয় সৌদি মন্ত্রী কথাটা বলেছেন, দুই বছর আগে রিয়াদে গিয়ে একটা চুক্তি সই করেছিলাম। সেই চুক্তির ফলাফল হিসেবে এটা প্রথম প্রকল্প। উনি যে কথাটা বলেছেন এটা মাত্র শুরু। সৌদি আরবের বাদশা, যুবরাজের সঙ্গে উনার ব্যক্তিগত খুব ভালো সম্পর্ক আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বাদশা ও যুবরাজের সঙ্গে দেখা করেছেন তখন উনারা বলেছিলেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। খুব শিগগির দেখবেন আরও বড় বড় বিনিয়োগ আসবে। মাননীয় সৌদি মন্ত্রী প্রায় ৪০ জন বড় ব্যবসায়ী এনেছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বি টু বি সভা হচ্ছে। আমি কিন্তু খুবই আশাবাদী। শুধু সৌদি আরব নয়, আরও অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগে খুবই আগ্রহী। আপনারা জানেন নির্বাচন সামনে। যদি আমরা আবার ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে বিনিয়োগের যে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি তার সুফল পাবো। খবর বাংলানিউজ।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বন্দরের জেটিতেও বিদেশি বিনিয়োগের কথা চলছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা চলছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, বন্দরের স্টেকহোল্ডার, ব্যবহারকারী হিসেবে আমরা মনে করি, উচ্চমানের বিনিয়োগকারীরা দেশকে ব্রান্ডিং করে। রেড সী পিসিটি পরিচালনায় এসেছে এটাতে অন্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়ে যাবে। ইতিবাচক দিক। তাদের জন্য আরও সুযোগ করে দেওয়া উচিত। সামনে বে টার্মিনাল আছে। দেশের অন্যতম চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দর। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা ছিল না। পতেঙ্গা টার্মিনাল যখন ফাংশনাল হবে তখন চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা হবে। এখানে যদি রেইট কমায় তাহলে চট্টগ্রাম বন্দরও কমাতে বাধ্য হবে। তারা যদি দ্রুততম সময়ে কনটেইনার লোড আনলোড করতে পারে চট্টগ্রাম বন্দরকেও দ্রুত কনটেইনার খালাস ও জাহাজীকরণ করতে হবে। এ প্রতিযোগিতা দরকার ছিল। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিক প্রযুক্তি, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টে সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে দেশে আনতে পারলো।