আলোচনা সভা : এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ (১৮-২৪ নভেম্বর) ২০২০ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা গতকাল রোববার সকাল ১১টায় নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন লয়েল রোডস্থ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপ-পরিচালক ডা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসি’র রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কন্টেইনমেন্ট প্রোগ্রামের সহযোগিতায় এবারের সচেতনতা সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহের অঙ্গীকার, এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য জীবানুরোধী ওষুধের সতর্ক ব্যবহার’।
আইইডিসিআর’র ওআইও ডা. সাবিজা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ (উপ-পরিচালক)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ফৌজদারহাট বক্ষ ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস এম নুরুল করিম, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি ও সিএমপি’র কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা। বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আবদুর রব। বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ওমর হায়দার, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়া, বিভাগীয় কীটতত্ত্ববিদ মো. মফিজুল হক শাহ, ছবি বড়–য়া, স্বাস্থ্য পরিদর্শক রঞ্জন কুমার মজুমদার, নার্সিং সুপার রোকেয়া বেগম, নার্সিং সুপার জ্যোৎ¯œা বড়–য়া, সিনিয়র স্টাফ নার্স বাপ্পী বড়–য়া, সিনিয়র স্টাফ নার্স জয়প্রিয় বড়–য়া প্রমুখ।
সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, সব রোগে এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়না আবার বিনা প্রয়োজনে কোনো ধরণের এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবেনা। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক সংক্রমণে সঠিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। এন্টিবায়োটিকের কোর্স নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন না করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকেনা। এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার শরীরের জন্য এত মারাত্মক ক্ষতিকর যে, এটি করোনাভাইরাস থেকেও ভয়াবহ। জ্বর বা জটিল রোগ হলে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ মতে এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ সেবন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি