আনোয়ারায় ১৮ দিনেও মিলেনি ৬৪ জনের করোনা রিপোর্ট

করোনার বিস্তারের শঙ্কা

সুমন শাহ্‌, আনোয়ারা:

প্রতিদিনেই বাড়ছে মানুষের ভিড়, সাথে বেড়ে যাচ্ছে করোনা ঝুঁকি। এরমধ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল না পাওয়ায় চট্টগ্রামের আনোয়ারায় করোনা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ১৮ দিনেও মিলেনি উপজেলার ৬৪ জনের করোনার রিপোর্ট। গত ৭ ও ৮ জুনের উপজেলার সন্দেহভাজন ৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম নগরীর ফৌজহার হাট ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে জট পরে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়ে দেয়। কিন’ গত ১৮ দিনেও এসব পরীক্ষার ফল হাতে পায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, চন্দনাইশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ৭ ও ৮ জুন সন্দেহভাজন ৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা করে চট্টগ্রামের বিআইিটিআইটি ল্যাবে পাঠানো হয়।  সেখানে জট পরে যাওয়ায় বিআইটিআইটি কর্তৃপক্ষ ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়ে দেয়। কিন’ র্দীঘ ১৮দিন পার হয়ে হয়ে গেলেও উক্ত দুই দিনের রিপোর্ট গুলো এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে এরপরের রিপোর্টগুলো সঠিক সময়ে চলে আসছে বলেও জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স কর্তৃপড়্গ।

উপজেলার ৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্ট পেতে ১৮ দিনের সময় পার হয়ে গেলেও রিপোর্ট না পাওয়ায় তারা রয়েছে আতঙ্কে। অনেকে রিপোর্টের অপেক্ষা করতে করতে অধৈর্য হয়ে স্বাভাবিকভাবে রাসত্মা ঘাটে চলাফেরা করতেও দেখা গেছে। পরিসি’তি অনুযায়ী দ্রম্নত স্বাস্থ্য সেবা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে উপজেলায় করোনার বিসত্মারের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নমুনা সংগ্রহের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেহভাজনদের করোনা পরীক্ষার ফল দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে ২৪ ঘণ্টার বদলে ১৮ দিনও সময় লেগে যাচ্ছে বলেও ড়্গোভ করে বলছেন নমুনা দিতে আসা রোগীরা। যে কারণে এ উপজেলায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। তার ওপর অনেকের নেই উপসর্গ, যার কারণে কে করোনা রোগী আর কে সুস্থ তা টেস্ট ছাড়া ধারণা করাও কঠিন। নমুনার ফলাফল না আসায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার বাইরের থেকে শহর, কর্ণফুলী, চন্দনাইশ থেকেও পরীক্ষা করানোর জন্য আসে। গত ৭ ও ৮ জুনের উপজেলার সন্দেহভাজন ৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজহার হাট ল্যাবে পাঠানো হলে সেখানে জট পরে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়ে দেয়। কিন’ এখনো পর্যন্ত এসব পরীক্ষার ফল আমরা হাতে পায়নি।