আনোয়ারায় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুলেন কর্ণফুলী (বঙ্গবন্ধু) টানেল সড়কে ভূমি অধিগ্রহণকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় কয়েকজন দালাল চক্রের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপ-পরিচালককে লিখিত অভিযোগ করেন জমির মালিক আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের পাঁচসিকদার বাড়ীর হাজী আবুল হোসেনের পুত্র মো. নুরুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম চট্টগ্রাম এলএ শাখার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা কায়সার খসরু, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক, সার্ভেয়ার মো. মুক্তার হোসের, আবদুর রব, আবু কাউসার সোহেল, স্থানীয় নুরুল কবির, নবী হোসেন, ফরিদুল আলমসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের বেলচুড়া মৌজার ১৮ শতক জমির মধ্যে অধিগ্রহণকৃত ৭.৫ শতাংশ জমির মালিক নুরুল ইসলাম। সে মতে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন ভোগ দখলেও। কিন্তু সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন কর্ণফুলী (বঙ্গবন্ধু) টানেল সড়কে ভূমি অধিগ্রহণে এলএ মামলা মূলে অধিগ্রহণ করলেও তপশীলোক্ত সম্পত্তির মালিক হিসেবে জানতে পারে সে ক্ষতি পূরণের টাকা পাবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্তও করেন। নিষ্পত্তির তারিখ প্রদান করে জানাবে বলে কোনো ধরনের তথ্য প্রদান না করে সুকৌশলে এলএ শাখার দালালরা মোটা অংকের টাকা ৫০% কমিশন দাবী করেন তার কাছ থেকে। আর প্রকৃত মালিক হিসাবে তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এমনটায় ঘটেছে বলেও জানা গেছে অভিযোগে।

এ ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে সাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ আরিফ, জামাল উদ্দিনসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তার মোট জমি হচ্ছে ১৮ শতক। অধিগ্রহণকৃত ৭.৫ শতাংশ জমির মালিক নিজে। সে হিসেবে তিনি ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ২০৫.৯০ টাকা পায়। কিন্তু মনির আহমদের পুত্র, (এলএ) শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় কিছু দালাল চক্র মিলে সে টাকাগুলো তুলে ফেলে। এ জমিটা তার দখলে ছিলো। আপত্তি জানানোর পরেও কোন ফিল্ড সার্ভেয়ার ছাড়া পরিকল্পিতভাবে ক্রয়কৃত জমির ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তারা। এসব থেকে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলাও করা হয়েছে জড়িত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এলএ শাখার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা কায়সার খসরুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপ-পরিচালক শরীফ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এটি অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। অনুমোদন হয়ে আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।