আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে নিজেদের মূলধন করে ফেলেছে

পেশাজীবী পরিষদের অনুষ্ঠানে খসরু

স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট এদেশের মানুষ ভুলে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে স্বাধীনতা দিবসের গর্বিত দিনটিকে, গর্বিত কাজটিকে গর্হিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট আমরা ভুলে যাচ্ছি। এ প্রেক্ষাপটের মধ্যে মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, কর্নেল ওসমানী, জিয়াউর রহমান আছেন। আরো অনেকের অবদান আছে। আজকে দেশের স্বাধীনতা একটি ব্যক্তি, একটি পরিবার, গোষ্ঠী ও একটি দলের হাতে। যেন তারা মূলধন পেয়েছে। এটাকে নিজেদের মূলধন করে ফেলেছে।

তিনি রোববার (২৬ মার্চ) বিকেলে পাঁচলাইশ শায়লা স্কয়ারে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সন্মাননা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি। ডা. শামীম আল মামুন ও ডা. ঈসা চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন বিএনপির উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।

অনুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হক, ডা. মো. গোফরানুল হক, একরামুল করিম, ডা. জাহিদ হোসেন শরীফ, অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, কমান্ডার শাহাবুদ্দিন ও মো. হারুনুর রশিদকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
আমীর খসরু বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ইনক্লুসিভ বিষয়। এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হতে পারে না। এটি সমস্ত জাতির গর্ব। এই মূলধন সমস্ত জাতির মূলধন। এ গর্ব সমস্ত জাতির গর্ব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব বিষয় দেখা হবে। যারা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন প্রত্যেকের নাম বাংলাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।

প্রধান বক্তা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে আমরা লড়াই করছি গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের রক্ষার জন্য। অর্থনৈতিক যে বৈষম্য যেটা ৭১ এ ছিল সেটা এখন আরো বেশি হয়েছে। মানবাধিকার ও মানুষের মুক্তির লড়াই অব্যাহত আছে। কাজেই আমাদের শপথ নিতে হবে- গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এক হয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে হবে।

এস এম ফজলুল হক বলেন, স্বাধীনতা কোন পণ্য নয়। স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অনেক কথা থাকতে পারে। কিন্তু যে গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতা, সে গণতন্ত্র ছাড়া দেশের মানুষ ভাবতে পারে না।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং জিয়াউর রহমানের নাম সমার্থক। বিজ্ঞপ্তি