সুপ্রভাত ডেস্ক :
সালমান খান আর ক্যাটরিনা কইফের প্রেমের গুঞ্জন এক সময়ে ছিল টিনসেল টাউনের বহু চর্চিত বিষয়। কিন্তু জানেন কি, ওদের মধ্যে অশান্তিও কিছু কম হয়নি! এমনও হয়েছে, রাগের চোটে ক্যাটের জিনিসপত্র ছুড়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন সালমান। বার করে দিয়েছিলেন নিজের বাড়ি থেকে। পরে ক্যাটরিনা নিজের ভুল বুঝতে পারেন।
সালমানের সাহায্যের হাত পাওয়ার আগে ক্যাটরিনা ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির স্ট্রাগলিং নায়িকা। সালমানের নায়িকা হওয়ার পরেই বলিউডে পরিচিতি পান ক্যাটরিনা। ইন্ডাস্ট্রিতে সালমান ছিলেন ক্যাটরিনার গডফাদার। নিজের বৃত্তের বহু পরিচালক, প্রযোজকের সঙ্গে ক্যাটের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সল্লু মিয়া। ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি পান ক্যাটরিনা। সালমান ছাড়াও অন্য নায়কের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ আসতে থাকে। সেখানেই দেখা দেয় বিপত্তি।
‘নিউইয়র্ক’ ছবিতে ক্যাটের বিপরীতে ছিলেন জন আব্রাহাম। এই সময় থেকেই ক্যাট আর জনের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা যেতে থাকে। যদিও সালমান বা জন, কারও সঙ্গেই নিজের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি ক্যাটরিনা। কিন্তু তার একটি মোবাইল ফোনের বিল সালমানের হাতে পড়তেই সমস্যা জটিল হয়।
সেই নম্বর থেকে জনের নম্বরে প্রচুর ফোনকল এবং মেসেজ করা হয়েছে বলে দেখা যায়। সেইসঙ্গে জনও উত্তরে ফোন করেছেন। মেসেজ পাঠিয়েছেন। এই ঘটনাকে ভাল ভাবে নেননি সালমান। পজেসিভ বলে তার বদনাম ছিল বরাবরই। সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্যাটরিনা এবং জন দু’জনেই তাদের যাবতীয় ফোনকল ও মেসেজকে ‘কেজো’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু সালমানের কাছে এই দাবিতে চিঁড়ে ভেজেনি।
ক্যাটরিনা তখন থাকতেন সালমানের ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে’-ই। তার হিন্দি উচ্চারণ থেকে ছবি বাছাইয়ের মাপকাঠি, সব ঠিক করে দিতেন সালমান। তিনি নিজের জীবনের অংশ বলেই মনে করতেন ক্যাটরিনাকে। সেখানে ক্যাটের হৃদয়ে অন্য পুরুষের আগমনকে মেনে নিতে পারেননি ভাইজান। শোনা যায়, এই ঘটনার জেরে ক্যাটরিনাকে তো বার করেই দিয়েছিলেন সালমান। এমনকি, তার জিনিসপত্রও ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। ক্যাট তখন ব্যস্ত ছিলেন ‘নিউইয়র্ক’ ছবির প্রচারে। তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাও করা হয়েছিল। সালমানের রোষ থেকে বাঁচতে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, জন আব্রাহামের সঙ্গে তার কাজের বাইরে কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি, এ-ও স্বীকার করেছিলেন সালমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে। তার জিনিসপত্রও সালমানের কাছেই আছে বলে জানান ক্যাটরিনা। সালমান তার জিনিস ছুড়ে বাড়ির বাইরে ফেলে দেন, এ কথাও অস্বীকার করেন ক্যাটরিনা।
এখান থেকেই সালমান-ক্যাটরিনার সম্পর্কে ভাঙন শুরু। সেই ভাঙনে আর প্রলেপ লাগেনি। তাছাড়া সালমানের সঙ্গে জন আব্রাহামের সম্পর্ক ভাল ছিল না। তার সঙ্গে নিজের প্রেমিকার ঘনিষ্ঠতা মানতে পারেননি তিনি। ঐশ্বর্যের পরে ক্যাটরিনার সঙ্গেই সালমানের সিরিয়াস সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেখানে প্রেয়সীর তরফে এই মানসিক ধাক্কা মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন না সালমান।
খবর : আনন্দবাজার’র।
বিনোদন