সুপ্রভাত ডেস্ক »
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, শুধু নগরকেন্দ্রিক উন্নয়নে আবদ্ধ না থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনকে কাজ করতে হবে। এসএমই মেলা উদ্যোক্তাদের ব্যবসা বিকাশে সহায়তা করছে। নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করছে।
তিনি বলেন, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যখন ঋণ দিবে, তাকে তো কিছুর ওপর ঋণ দিতে হবে। সেটা যে অংকের ঋণই হোক। ২০২৪ এসে শুনতে হয় আমি ব্যবসার হিসাব রাখতে পারছি না। কত টাকার বিক্রি করছি, কত টাকার কিনছি তার হিসাব রাখতে পারছি না। যে জন্য ব্যংকে যেতে পারছি না। কাচা খাতা বা এখন মোবাইলে বিভিন্ন এ্যাপের মাধ্যমে হিসাব রাখা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে উদ্যোক্তারা অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ব্যবসার অভিজ্ঞতা নিতে পারে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রতি বছর বাজেটে আমরা একশত কোটি টাকা রাখা হয় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য, সেটা ব্যবহার হয় না। কারণ নানা ধরনের শর্তের জন্য। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বারংবার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা যদি আরেকটু তৎপর হন, তাহলে তাদের ব্যবসার অর্থায়নের যথেষ্ট সুযোগ আছে। আমরা স্মার্ট ফাইন্যান্সিং করছি। এ জন্য উদ্যোক্তাদের স্মার্ট গোল মাথায় রাখতে হবে। পাচ বছর পর ব্যবসা কোথায় নিবেন, সে বিষয়ে পরিকল্পনা থাকতে হবে। সরকারের দেয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর নুরুন নাহার এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলেখা রানী বসু।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আরফান আলী।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী থাকাকালে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ধারায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্রশিল্প করপোরেশন (ইপসিক) প্রতিষ্ঠা করেন। যার বর্তমান নাম বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। জাতির পিতার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) প্রতিষ্ঠিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পনীতি-২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেমিনারে বক্তৃতা করেন সিটি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ, এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ব্রাক ব্যাংকের হেড অব এসএমই মো: জাকিরুল ইসলাম। সেমিনারে এসএমই খাতের উদ্যোক্তা, ব্যাংক ও ব্যবসা সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরে।
আলোচনা পর্বশেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এসএমই মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ও উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলেন।