দ্বীনি শিক্ষার আলোকবর্তিকা কাগতিয়া কামিল মাদরাসা

৮৯তম এনামী জলসায় বক্তারা

রাউজানের নিভৃত পল্লির বুকে যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে নবীপ্রেমের অনন্য শিক্ষা নিকেতন কাগতিয়া মাদরাসা। এ মাদরাসা গড়ে উঠার নেপথ্যে যাঁর অবদান তিনি হলেন খলিফায়ে রাসুল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)। এ মাদরাসার উন্নতি-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্যে তিনি সারা জীবন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন। যুগ-যুগ ধরে শরিয়তের জ্ঞান অর্জনের অন্যন্য বাতিঘর হিসেবে খ্যাত এই মাদরাসা। যার মাধ্যমে সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সহ সর্বস্তরে শিক্ষার আলো পৌঁছে গেছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি নৈতিকতাসম্পন্ন আদর্শ জাতি গঠনে এ মাদরাসার ভূমিকা অপরিসীম।

গতকাল শনিবার বেলা ৩টায় বায়েজিদ মহানগর ক্যাম্পাস সম্মুখস্থ ময়দানে অনুষ্ঠিত কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল (এম এ) মাদরাসার ৮৯তম এনামী জলসায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এ জলসায় বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সময়েও এই মাদরাসার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মাদরাসার বর্তমান অধ্যক্ষ, আওলাদে রাসুল (দ.), মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী দায়িত্ব গ্রহণের পর এই মাদরাসা উন্নতি ও সমৃদ্ধির স্বর্ণশিখড়ে পৌঁছে গেছে। দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল আধুনিক একাডেমিক ভবনের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ক্লাসরুম, যুগোপযোগী পাঠদান, বিরল সব কিতাব সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, যানবাহন ও আইসিটি ল্যাব সুবিধাসহ রয়েছে দক্ষ-মেধাবী শিক্ষকম-লী। ছাত্রদের দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ও তথ্য-প্রযুক্তিগত শিক্ষায় এ মাদরাসার সাফল্য ঈর্ষণীয়। প্রতিবছর বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট এর প্রমাণ বহন করে আসছে। ছাত্রদের উন্নত ক্যারিয়ার ও নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন জীবন গঠনের জন্যে রয়েছে একাধিক কার্যক্রম। প্রায় শতাব্দী ধরে ইতিহাস-ঐতিহ্যের কালের সাক্ষী হয়ে আছে এই মাদরাসা। রাউজানে মাদরাসার মূল ক্যাম্পাস এবং বায়েজিদস্থ চট্টগ্রাম মহানগর ক্যাম্পাসের সামগ্রিক কার্যক্রম দেশে শিক্ষা বিস্তার ও আলোকিত মানুষ তৈরিতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করছে।

জলসায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, নানুপুর মাজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুছলেহ উদ্দীন আহমদ মাদানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সরওয়ার কামাল, মো. দেলওয়ার হোসেন খান প্রমুখ। জলসায় বক্তব্য রাখেন মুফতি কাজী মোহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী।

মিলাদ-কিয়াম শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি