নিজস্ব প্রতিবেদক, রাউজান »
কৃষক রাজা মিয়ার ৪০ শতক ফসলী জমি সর্তা খালে বিলিন, সর্তা খালের ভাঙ্গনে ফসলী জমি ও বসতবাড়ী বিলিন হলে ও ভাঙ্গনরোধে কেউ এগিয়ে আসছে না ।
রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হলদিয়া তেল চান্দ বাড়ী ও তোফায়েল আহম্মদ বাড়ী। বাড়ীর পাশে ছিল এলাকার বাসিন্দা দরিদ্র কৃষক রাজা মিয়ার ৪০ শতক ফসলী জমি
কৃষক রাজা মিয়া তার পৈতৃক জমিতে ধান ও সব্জি ক্ষেত করতো । ৪০ শতক জমিতে সব্জি ক্ষেত করে কৃষক রাজা মিয়া তার ক্ষেতের উৎপাদিত সব্জি বাজারে বিক্রয় করে সব্জি বিক্রয়ের টাকা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতো । দরিদ্র কৃষক রাজা মিয়ার ফসলী জমির পাশে সর্তার খালে সন্ত্রাসী হাসান মুরাদ রাজু পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় সর্তা খালের ভাঙ্গন বৃদ্বি পেয়ে দরিদ্র কৃষক রাজা মিয়ার ৪০ শতক ফসলী জমি সর্তার খালের ভাঙ্গনে খালের মধ্যে বিলিন হয়ে যায় । দরিদ্র কৃষক রাজা মিয়ার বসতবাড়ী সহ প্রতিবেশীর বসতঘর সর্তা খালের মধ্যে বিলিন হয়ে যায় । কৃষক রাজা মিয়া বলেন, সর্তা খালের বালুখোকোদের কারণে আমি সহ এলাকার অনেকের ফসলী জমি ও বসতঘর খালের ভাঙ্গনে খালের মধ্যে বিলিন হয়ে গেছে। কৃষক রাজা মিয়া জানান, পৈতৃক ফসলী জমি সর্তা খালের মধ্যে বিলিন হয়ে যাওয়ার পর বর্গা জমি নিয়ে ৫ এশর জমিতে ধান ক্ষেতের চাষাবাদ করছি । ৪০ শতক বর্গা জমিতে সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করছি। বর্গা জমিতে ধান ও সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেচেঁ আছি । রাউজান উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়াডের হলদিয়া, বড়–য়া পাড়া, উত্তর সর্তা, গর্জনিয়া এলাকায় সর্তার খালের মধ্যে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন ও উত্তর সর্তা এলাকায় সর্তা খালের মধ্যে জেগে উঠা চরের মাটি কেটে নিয়ে বালু ও মাটি বিক্রয় করায় সর্তা খালের ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়ে এলাকার বাসিন্দ্বাদের ঘরবাড়ী, ফসলী জমি খালের মধ্যে বিলিন হয়ে গেছে । হলদিয়া ভিলেজ রোডের একাংশ হলদিয়া বইজ্যার হাটের উত্তর পাশে খালের মধ্যে বিলিন হয়ে গেছে ।
সর্তা খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় হলদিয়া আমির হাটের উত্তর পাশে দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কে সর্তা খালের উপর ব্রীজটি পিলারের গোড়ালীর মাটি সরে গিয়ে ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়েছে । ঝুকিঁপুর্ণ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। হলদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সবুজ বড়–য়া বলেন, সর্তার খালের ভাঙ্গনে এলাকার মানুষের বসতঘর ও ফসলী জমি খালে বিলিন হয়ে যায় ।
খালের ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী এসে পরিদর্শন করলে ও ভাঙ্গন রোধে বাধ নির্মান করেনি । ভাঙ্গন রোধে বাধ র্নিমাণ না করায় সর্তা খালের ভাঙ্গনে আরো শতাধিক পরিবারের বসতঘর ও ফসলী জমি হুমকির মুখে পড়েছে ।