নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ :
চন্দনাইশের বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল করে দেওয়া টিনের ঘেরা উচ্ছেদ করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে তিনি এ উচ্ছেদ অভিযান চালান।
এর আগে তিনি ১ এপ্রিলের মধ্যে এসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দখলকারীদের।
জানা গেছে, উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর-পশ্চিমাংশে টিনের ঘেরা দিয়ে একটি অংশ দখল করে নিয়েছিল স্থানীয় আবু বক্কর ও ইব্রাহিম নামে দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার মোস্তফা চৌধুরী দুলাল জেলা প্রশাসক, নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হয়।
৩১ মার্চ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমির কার্যালয়ে এ বিষয়ে শুনানি শেষে ওই দুই ব্যক্তিকে ১ এপ্রিলের মধ্যে ইউপি পরিষদের জায়গা থেকে টিনের বেড়া সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশের ৬দিন পেরিয়ে
গেলেও তারা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার মোস্তফা চৌধুরী দুলাল জানান, স্থানীয় এ দুই ব্যক্তি ইউপি পরিষদের জায়গা দখলের চেষ্টা করলে প্রথমে ইউএনওকে জানানো হয়। এরপর কিছুদিন তারা নীরব থাকলেও ১০ থেকে ১৫ দিন পরে তারা টিনের ঘেরা দিয়ে একাংশ দখল করে নেয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে শহীদ মিনারে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
অভিযোগ তদন্তের পর পর আজকের অভিযান। দখলের এ জায়গাটি দিয়ারা জরিপে পরিষদের নামে ৪ নম্বর খতিয়ানভুক্ত। এ নিয়ে কোন মামলা-মোকাদ্দমাও নেই বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আবু বক্কর বলেছেন, আরএস খতিয়ানমূলে তাঁদের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে তারা দখল করেছেন। দিয়ারা জরিপে পরিষদের নাম আসলে তিনি কোন ধরনের আদালতে মামলা করেন নাই বলে জানান। এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিন বলেন, ৬ নং বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদ এর নামে রেকর্ডীয় ০.০৬৫৮ একর জমি এবং ১ নং খতিয়ানের রাস্তা শ্রেণিভূক্ত ০.০১ একর মোট ০.০৭৫৮ একর জমি আবু বক্কর ও ইব্রাহীম নামক ব্যক্তিগণ অবৈধভাবে টিনের ঘেড়া-বেড়া দিয়ে দখল করায় ইউনিয়ন পরিষদের চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে যাওয়া আসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ জমি দখল মুক্ত করে বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট জমি বুঝিয়ে দেয়। উচ্ছেদকৃত ঘেরা-বেড়ার সরঞ্জাম উপজেলায় নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে ঘেরা-বেড়ার সরঞ্জাম উপজেলায় নিয়ে আসার পর আবু বক্কর পরিষদের দেয়া সাইন বোর্ডটি উপড়ে ফেলে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান।