মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে ত্রাণ বিতরণকালে ভিপি নাজিম উদ্দিন বলেছেন, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন দীর্ঘ তিন মাস ধরে গরীব অসহায়দের মাঝে ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছেন। সারাদেশে করোনা ভাইরাস এর প্রভাব বেড়েই চলছে। সরকারি লকডাউন শীতল করার কারণে দিন দিন চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। তাই সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় সরকারকে এর মাশুল দিতে হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সরকারি ত্রাণ গরিব অসহায়দের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এ অবস্থায় ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
আজ সোমবার (১৮ মে) দুপুরে নগরীর প্রবর্তক ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের সামনে গরিব-অসহায়-দুস্থদের মাঝে ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আরিফ মেহেদি, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি
ডা. শাহাদাতের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত
দুই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন ১০ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর দুই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় গেলেন ১০ জন করোনা রোগী। এরমধ্যে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল থেকে সাত জন ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি থেকে চার জন। ফৌজদারহাট থেকে বিকেলে ছাড়া পেলেও আন্দরকিল্লা থেকে ছাড়া পেয়েছে সন্ধ্যায়। এদিকে এই দুই হাসপাতালে ১১টি সিট খালি হওয়ায় নতুন করে আরো ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেল।
জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়াদের সম্পর্কে হাসপাতালটির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব বলেন, ৫০ বছর বয়সী সেলিম, ৩০ বছর বয়সী হাশেম, ৪৩ বছর বয়সী এনায়েত, ৩২ বছর বয়সী নাসের, ২৬ বছর বয়সী নুরুন্নবী ও শাহজাহান নামে আরো একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অপরদিকে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালের পরিচালক ডা. এম এ হাসান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতাল থেকে চারজন রিলিজ পেয়েছে আজ।’ তবে তাদের বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি।
উল্লেখ্য, করোনা চিকিৎসায় সব মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করানো যাচ্ছে না। সিট সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যে নতুন করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। চলতি সপ্তাহে তা চালু হতে পারে। অপরদিকে চট্টগ্রামে দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৭৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১৩ জন ও মারা গেছেন ৩২ জন।
আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেতে জাহাজশূন্য হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি। একইসাথে লাইটার জাহাজগুলোকেও উজানে থাকতে বলা হয়েছে এবং বড় জাহাজগুলোকে বহিঃনোঙ্গরে কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার পয়েন্টে থাকতে বলা হয়েছে। সোমবার বিকাল চারটার পর থেকে বন্দরের জেটি জাহাজশূন্য রয়েছে। একইসাথে বন্দরের সকল ইকুইপমেন্ট বেঁধে রাখা হচ্ছে।
দুর্যোগ সময়ে ছোটো জাহাজগুলোকে নদীর মধ্যে সবসময় ইঞ্জিন চালু রাখতে হয়। কেন ইঞ্জিন চালু রাখতে হয় সেবিষয়ে কথা হয় করিমস শিপিংয়ের গ্ল্যাডিয়েটর জাহাজে ক্যাপ্টেন মাজেদুল জাহানের সাথে। তিনি বলেন, আমরা এখন ব্রিজঘাট এলাকায় অবস্থান করছি এবং অনেক জাহাজ এই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাস ও পানির গতিবেগ বেড়ে যেতে পারে। এসময় একটি জাহাজ আরেকটি জাহাজকে গিয়ে আঘাত করতে পারে। তাই সব জাহাজের ইঞ্জিন স্টার্ট রেখে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্রুদের কাজ করতে হয়।
এদিকে বন্দর সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে তিনটায় চট্টগ্রামের জন্য ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পর থেকে বন্দরের জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বহিঃনোঙ্গরে পাঠিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেসব জাহাজ থেকে পণ্য আনলোডিং হচ্ছে সেগুলো থেকে কনটেইনার নামানো হচ্ছে।
তবে সোমবার রাত পর্যন্ত ইকুইপমেন্ট প্যাক (বাঁধা) হয়নি বলে জানান বন্দরের টার্মিনাল পরিচালনাকারী সংস্থা সাইফ পাওয়ার টেকের প্রধান নির্বাহি ক্যাপ্টেন তানভীর হোসাইন। তিনি সোমবার রাত ৯টায় বলেন, আমরা এখনো পণ্য লোডিং ও আনলোডিংয়ের কাজ করছি। তবে যেহেতু তা মঙ্গলবার রাত থেকে আঘাত করবে তাই মঙ্গলবার সকালে জেটিগুলো খালি করা হবে। আর তারপর হয়তো ইকুইপমেন্টগুলো প্যাক করা হবে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে যাতে বন্দরের কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মঙ্গলবার মধ্য রাতের পর থেকে বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে। এজন্য মোংলা ও পায়রাকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এবার আরেক জটিলতায় হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল
সালাহ উদ্দিন সায়েম :
নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নগরীর বেসরকারি হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত শনিবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালটি চালু করা নিয়ে আবার জটিলতা দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালটি চালু করার জন্য শর্ত দেওয়া হয়েছে, স্থানীয়ভাবে সকল ধরনের জনবল সংযুক্ত করে হাসপাতালটি পরিচালনা করতে হবে। এজন্য জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অধীনে একজন সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের শর্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলছেন, ‘সহকারী পরিচালক মন্ত্রণালয় কিংবা চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক নিয়োগ দেবেন। আর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি ব্যবস্থাপনার সমন্বয় করবেন স্বাস্থ্য পরিচালক। আমি জেনারেল হাসপাতাল থেকে গিয়ে হলি ক্রিসেন্ট তো পরিচালনা করতে পারবো না। আর মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে হলি ক্রিসেন্ট পরিচালনা করতে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। যিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনিই হাসপাতালটির সবকিছু দেখভাল করবেন।’
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলছেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী হলি ক্রিসেন্ট সরকারি ব্যবস্থাপনায় জেনারেল হাসপাতালের ইউনিট হিসেবে পরিচালিত হবে। তাই জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কই হাসপাতালটি পরিচালনা করবেন। সহকারী পরিচালক তার অধীনেই থাকবেন। আমি কেবল ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ দেবো।’
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে হলি ক্রিসেন্টকে জেনারেল হাসপাতালের ইউনিট হিসেবে পরিচালনার কথা বলা হয়নি। জেনারেল হাসপাতালের অর্থনৈতিক কোডের অধীনে হলি ক্রিসেন্টের কেবল ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীর বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করার কথা বলা হয়েছে।’
শয্যা অনুপাতে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী মিলছে না
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলি ক্রিসেন্টে আইসোলেশন শয্যা স্থাপন করা হয়েছে ৩০টি আর আইসিইউ শয্যা বসানো হয়েছে ৮টি।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, ‘৩৮ শয্যার অনুপাতে অন্তত ২৪ জন চিকিৎসক, ৭২ জন নার্স ও ৭২ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী প্রয়োজন। কিন্তু এই মুহূর্তে এতো চিকিৎসক, নার্স কোথায় পাওয়া যাবে? আর করোনা সংক্রমণের ভয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কোনো কর্মচারী কাজ করতে রাজি হচ্ছে না।’
একই চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, সরকার সম্প্রতি যেসব চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে সেখান থেকে কয়েকজন চিকিৎসক হলি ক্রিসেন্টের জন্য নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সহকারী পরিচালক পাওয়া না গেলে একজন সিনিয়র চিকিৎসককে হাসপাতালটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তা করছি।
চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গত ৪ এপ্রিল নগরীর বেসরকারি ১২ টি ক্লিনিক নির্বাচন করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। কিন্তু ক্লিনিকগুলো করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর ক্লিনিক মালিকদের সংগঠন প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নগরীর খুলশী জাকির হোসেন সড়কের পরিত্যক্ত হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে সংস্কার করে করোনার চিকিৎসার জন্য চালুর উদ্যোগ নেয়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্পগ্রুপ ও ক্লিনিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের অর্থায়নে হাসপাতালটি সংস্কার করে গত ২৫ মার্চ প্রস্তু করা হয়।
কিন্তু হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দেয়। এই ক্লিনিকটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অধীনে পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য পরিচালক। কিন্তু এই ক্লিনিকটি পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জেনারেল হাসপাতালের অধীনে একজন সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তার মাধ্যমে ক্লিনিকটি চালু করার নির্দেশ দেয়।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেচাকেনা: রেয়াজউদ্দিন বাজার থেকে আটক ৯
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরের রেয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে সোমবার অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেচাকেনার দায়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
আটককৃতরা সবাই ঈদের কেনাবেচা করছিলেন। এর মধ্যে ৪ জন বিক্রেতা ও ৫ জন ক্রেতা। তাদের বিরুদ্ধে সংক্রমণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার রেয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে কেনাকাটার সময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনাকাটা করায় ৯জন ক্রেতা-বিক্রেতাকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংক্রমণ আইনে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মহসীন।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে চসিক
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য ও সহযোগিতার প্রয়োজনে নগরবাসীদের সেবা দিতে সার্বড়্গণিক কন্ট্রোল রুম খুলেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে অবস্থানের জন্য উপকূলীয় এলাকায় চসিক পরিচালিত সকল শিড়্গা প্রতিষ্ঠান সর্বদা প্রস’ত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য ও সহযোগিতার প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চসিকের পড়্গ থেকে নগরবাসীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। চসিক’র কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্ব্বরগুলো হলো- ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর পড়্গ থেকে জানানো হয়, দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে উপকূলবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে সকল প্রস’তি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। উপকূলীয় এবং পাহাড়ের তলদেশে অবস’ানরত জনসাধারণের মাঝে সচেতনতার জন্য মাইকিং কার্যক্রমসহ দূর্যোগ পরবর্তী সময়ের জন্য শুকনো খাবার, পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস’া এবং চিকিৎসা সেবাদানের জন্য মেডিক্যাল টিম ও পর্যাপ্ত ওষুধ প্রস’ত রেখেছে চসিক।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর সার্বিক পরিসি’তি পর্যবেড়্গণ ও কন্ট্রোল রুমের তদারকি করছেন।বিজ্ঞপ্তি
বান্দরবানে পানির সংকট দূরীকরণে জিএফএস প্রকল্পের উদ্ধোধন

সংবাদদাতা, বান্দরবান :
বান্দরবান পানির সংকট দূরীকরণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে জিএফএস সুবিধার মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছাদুর জামান. পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, জনস্বাস্থ্য নিবাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন সহ প্রকৌশলী মজিবুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপসি’ত ছিলেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানায় পার্বত্য অঞ্চলে পানি সঙ্কট দূরীকরনে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই জিএফএস প্রকল্পের মাধ্যমে সদর উপজেলার মাঝের পাড়া এলাকায় ৭টি পাড়ার ৮৬৫ পরিবারের ৫৬৫৫ জন মানুষ পানির সুবিধা পাবেন।
মেয়াদবিহীন দুধ ও মেয়াদোর্ত্তীণ পণ্য বিক্রি করায় জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেছেন। সোমবার (১৮ মে) বেলা ১১টা থেকে নগরীর বায়েজিদ কাঁচাবাজার, কাজীর দেউড়ি, জামালখান রোড, আন্দরকিল্লা ও ইপিজেড এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে মেয়াদবিহীন দুধ, অননুমেদিত রং, মূল্য তালিকা প্রর্দশন না করা, মেয়াদোর্ত্তীণ পণ্য বিক্রয় করায় ১০ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে হাইড্রোজ, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসসহ ৪টি টিসিবি ট্রাকসেল পর্যবেক্ষণ করা হয়।
ভোক্তা অধিকারের অভিযানে নগরীর বায়েজিদ কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় নাবিলা স্টোরকে ১ হাজার, ভাইভাই স্টোরকে ১ হাজার, শাহপরান স্টোরকে ২ হাজার, রতন স্টোরকে অননুমোদিত রং বিক্রয় করায় ৫ হাজার, জোবেদা স্টোরকে অননুমোদিত রং ব্যবহার করায় ৫ হাজার, রং দেয়া খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। স্মরণিকা স্টোরকে উৎপাদন-মেয়াদবিহীন মোড়কজাত দুধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার, ইপিজেড থানার এম ই এস গেইটের আমিন এন্ড সন্সকে হালনাগাদ মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এবং মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার, আল ইদ্রিস ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মেয়াদউত্তীর্ণ ময়দা বিক্রয় করায় ৩ হাজার, ইলিয়াছ স্টোরকে মেয়াদউত্তীর্ণ কোমলপানীয় রাখায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান গুলো পরিচালনা করেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহায়তায় অভিযান গুলো চালানো হয়।
ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সামাজিক দূরত্ব আশ্রয়কেন্দ্রেও
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান‘ মোকাবেলায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও থাকছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান‘ মোকাবেলায় কোভিড-১৯ এর প্রভাব পড়েছে। সাধারণভাবে উপকূলীয় এলাকার লোকদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু এবার করোনোর কারণে রয়েছে সামাজিক দূরত্বের বিষয়। তাই এবার নির্ধারিত ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে ৩ হাজার ৫১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামাল হোসাইন বলেন, জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সোমবারের সভায় ২৫টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেসব নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহি অফিসারগণ দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা যায়, উপকূলের মানুষদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার জন চট্টগ্রামে ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া এবার করোনার কারণে আরো ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১ হাজার ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে। একইসাথে চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির আওতায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রয়েছে। এরা উপকূলীয় এলাকায় কাজ করছে। একইসাথে উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ফায়ার সার্ভিস এবং স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে সিভিল সার্জনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমাদের ৬ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। চট্টগ্রামের জন্য ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর কারণে উপকূলীয় এলাকায় ইতিমধ্যে দুটো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একইসাথে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিংও করছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি টিমে ১৫ জন সদস্য রয়েছে। স্থানীয় যুবকদের নিয়ে এসব টিম গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনের সাথে উদ্ধার কার্যক্রম করে থাকে এসব সদস্য।
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষদের নিয়ে যাই। তবে এবার কোভিড-১৯ এর কারণে একটি কেন্দ্রে বেশি মানুষ রাখতে পারবো না। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে গিয়ে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিত্যক্ত পাকা বাড়ি ব্যবহার করা হবে।
কোন দিন থেকে উপকূলীয় মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনা শুরু করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে আমাদের টিম দুর্গত মানুষদের নিরাপদে আনতে কাজ করবো।
উল্লেখ্য, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান সম্পর্কে বলা হয়েছে এটি কাল মধ্যরাতের পর থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। প্রবলগতির এই ঘূর্ণিঝড় ইতিমধ্যে সুপার সাইক্লোনের তকমা পেয়েছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।
করোনা উপসর্গে বাঁশখালী হাসপাতালে একজনের মৃত্যু
নমুনা সংগ্রহ, পরিবারের ৮ সদস্য হোম কোয়ারেন্টিনে :
সংবাদদাতা, বাঁশখালী :
বাঁশখালী উপজেলা সদর হাসপাতালে করোনা উপসগে সোমবার ভোর ৫টায় আক্তার হোসেন (৪২) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন । তিনি বাঁশখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জলদী গ্রামের খোন্দকার পাড়ার মৃত আজিমুলস্নাহর পুত্র। তার পরিবারের ৮ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামের ফৌজদার হাট এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করা অবস’ায় গত ৬ দিন আগে সর্দি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর থেকে তিনি অসুস’ ছিলেন। গতকাল সোমবার ভোর রাতে মারাত্মকভাবে অসুস’ হয়ে পড়লে তাকে বাঁশখালী হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এনে ভর্তি করা হয়। ওই অবস’ায় প্রচ- শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ার একপর্যায়ে তিনি চিকিৎসাধীন অবস’ায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মারা যাবার পর হাসপাতালের করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি তার নমুনা সংগ্রহ করেন।
করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমানকে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের পরিসি’তি দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘পরিবারের ৮ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টানে রাখা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির সংগৃহিত নমুনায় পজেটিভ আসলে পরিবারের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’
বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে লাশ হসত্মান্তরের পর পৌরসভার খরচে পারিবারিক কবরস’ানে লাশ দাফন করা হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত সংগৃহীত নমুনা প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত ওই পরিবারের বাইরে চৌকিদার বসিয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে। পরিবারের ৮ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’