Blog Page 2740

এবার তামিমের অনুষ্ঠানে ওয়াসিম আকরাম

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
গতকাল সোমবার বাংলাদেশি ভক্তদের সবচেয়ে বড় চমক দিয়েছেন তামিম ইকবাল। নিজের ফেসবুক লাইভে ভক্তদের জন্য নিয়ে এসেছেন এই সময়ের অন্যতম তারকা বিরাট কোহলিকে। ২৬ মিনিটের আড্ডায় ক্রিকেটের নানা বিষয় তামিমের সঙ্গে শেয়ার করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
লাইভ শেষেই আরেকটি চমকের কথা ঘোষণা দেন তামিম। বাংলাদেশ অধিনায়কের লাইভে আজ মঙ্গলবার আসছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আসছেন সাবেক পাকিস্তান তারকা। একইসঙ্গে লাইভে থাকবেন খালেদ মাসুদ পাইলট, আকরাম খান ও মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
গতকাল লাইভ শেষে তামিম বলেন, ‘মঙ্গলবারও একটা চমক রয়েছে, অনেক বড়ই বলতে পারেন। আমাদের সঙ্গে থাকবেন খালেদ মাসুদ পাইলট, আকরাম খান এবং মিনহাজুল আবেদীন নানু এই তিনজনসহ বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ওয়াসিম আকরাম।’
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আমাকে অনেক কোচ ফোন করে বলেছেন ওয়াসিম আকরামকে যদি আনা যায়, যদি বোলিং টিপসের ব্যাপারে জানা যায় তাহলে অনেক কিছু শেখা যাবে। আশা করছি কালকের শোটা বড় হবে। ওয়াসিম আকরাম যেহেতু থাকবে ৯৯ বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলব।’
কয়েক দিন ধরে সঞ্চালনায় মাঠের তারকা ক্রিকেটার তামিম হয়ে উঠেছেন দুর্দান্ত উপস্থাপক। বাংলাদেশি তারকাদের নিয়ে এরই মধ্যে তার লাইভ হয়েছে। বিদেশিদের নিয়েও ফেসবুক মাতিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে তার লাইভে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ফাফ দু প্লেসি ও ভারতীয় তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা। গতকাল এসেছেন কোহলি। সে ধারাবাহিকতায় এবার আসছেন ওয়াসিম আকরাম।
দেশিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তামিমের লাইভের সঙ্গী হয়েছেন মাশরাফি বিন মোর্তুজা, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন, সাবেক ক্রিকেটার হাবিবুল বাশার, খালেদ মাহমুদ সুজন ও নাঈমুর রহমান দুর্জয়, লিটন দাস, মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম।
খবর : এনটিভিবিডি’র।

কোহলির সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চান না বাবর

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
সম্প্রতি সরফরাজ আহমেদকে সরিয়ে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক পদে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। তিনটি ফর্ম্যাটেই সাম্প্রতিক সময় দুরন্ত পারফরম্যান্স স্বরূপ এই পুরস্কারকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করছেন পাকিস্তানের পয়লা নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজম। কিন্তু বিভিন্ন সময় ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে তার যে তুলনা চলে আসে, সেই বিষয়টাকে একেবারেই উপভোগ করেন না তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবর সাফ জানালেন আমি এবং কোহলি দু’জনে ভিন্ন ঘরানার ব্যাটসম্যান, দু’জনের মধ্যে তুলনা না করাই শ্রেয়।
বাবর জানিয়েছেন, ‘দু’জনের মধ্যে যদি তুলনা না করা হয় সেটাই মনে হয় ভালো হবে। আমি আগেও বলেছি যে ও অন্য ঘরানার ক্রিকেটার, আমি একজন অন্য ঘরানার ক্রিকেটার। আমার কাছে ভালো ব্যাট করে দলকে জেতানোটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’ সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ব্যাটিংকে তিনটি ভিন্ন ফর্ম্যাটে উচ্চতায় তুলে ধরেছেন বাবর। যার প্রভাব পড়েছে র‌্যাংকিংয়েও। আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে দিনের পর দিন উন্নতি করে চলেছেন তিনি। অন্যদিকে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আধুনিক যুগের ব্যাটিং গ্রেট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আগেই।
সবমিলিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের দুই সাম্প্রতিক ব্যাটিং আইকনের মধ্যে তুলনাটা অযাচিতভাবেই চলে আসে। যদিও সেই তুলনা যে একেবারেই পছন্দ নয় তার, সাফ জানালেন পাকিস্তানের নয়া ওয়ানডে দলনায়ক। সাক্ষাৎকারে বাবরকে প্রশ্ন করা হয় করোনা পরবর্তী সময়ে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ক্রিকেট আয়োজনের পরিকল্পনার বিষয়ে। জবাবে বাবর বলেন, তারা ফাঁকা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটের সঙ্গে ভালোমতোই অভ্যস্ত।
পাক তারকা ব্যাটসম্যান জানান, ‘অন্যান্য দলগুলোর চেয়ে আমাদের ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি কারণ দুবাইতে বিগত ১০ বছর ধরে আমরা বেশিরভাগ সময়টা দর্শকহীন স্টেডিয়ামেই খেলে এসেছি। যদিও এটা আমাদের কিংবা অনুরাগীদের জন্য খুব একটা ভালো বার্তা নয়।’
মহামারী করোনার কারণে আগামী অক্টোবরে টি২০ বিশ্বকাপের আকাশেও কালো মেঘ। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমি নিশ্চিত এব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে আইসিসি সমস্ত দিক পর্যালোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। অন্যদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তো বলেইছে নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা ১১০ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে তবেই আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে সম্মতি জানাবে।’
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

আজ থেকে অনুশীলনে নামছে ইপিএল ক্লাবগুলি

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
জার্মানি, স্পেন, ইতালির পর পৃথিবীর মেজর সকার লিগগুলোর মধ্যে এবার ফুটবল ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করল ইংলিশ প্রিমিয়র লিগ। বিগত কয়েকদিন ধরেই চলছিল আলোচনা। অবশেষে গতকাল এ ব্যাপারে প্রথম ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইপিএল কর্তৃপক্ষ। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন শুরু করার অনুমতি পেল ইপিএলের ২০টি ক্লাব।
সোমবার লিগ কমিটির বৈঠকেই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। লিগ চালু করার ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে ফুটবলারদের অনুশীলন। সোমবার টেলিকনফারেন্সে বৈঠকের শেষে এব্যাপারে প্রিমিয়র লিগ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রিমিয়র লিগের দলগুলি ছোট দলে ভাগ হয়ে মঙ্গলবার থেকে অনুশীলনে ফেরার বিষয়টিতে সিলমোহর দিয়েছে। এটা প্রিমিয়র লিগ চালু করার প্রথম পদক্ষেপ। পরিস্থিতি নিরাপদ মনে হলে তবেই লিগ শুরু করা হবে।’
প্রথম পদক্ষেপে অবশ্যই ফুটবলারদের জন্য জারি করা হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন। যার মধ্যে ট্রেনিংয়ের সময় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলা, ফুটবলারদের একে অপরকে স্পর্শ করার বিষয়ে নানাবিধ নির্দেশিকা জারি হয়েছে। প্রত্যেক দলের ফুটবলার, ম্যানেজার, ক্লাবের চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং সর্বোপরি সরকারের সম্মতিতেই পুরো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রিমিয়র লিগ কর্তৃপক্ষ।
ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত প্রতেকের স্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং অনুশীলনে ফেরার বিষয়টিকে ধাপে ধাপে উন্নীত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকে করোনা পরবর্তী সময় প্রথম মেজর লিগ সকার হিসেবে ফুটবল ফিরেছে বুন্দেসলিগায়। ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে বায়ার্ন মিউনিখ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মতো জার্মান জায়ান্টরা।
যদিও বুন্দেশলিগায় দু’দিন দুটি ম্যাচে গোলের পর সেলিব্রেশন ঘিরে লেগে রয়েছে বিতর্কের গন্ধ। রবিবার ইউনিয়ন বার্লিনের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচের ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেওয়ানদোস্কি। ৮০ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেঞ্জামিন পাভার্ড। গোলের পর তিনি সতীর্থ ডেভিড আলাবাকে জড়িয়ে ধরে সেলিব্রেশনে মাতেন। জার্মান ফুটবল সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘিত হওয়ায় যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। প্রথমদিন হফেনহেইমের বিরুদ্ধে গোলের পর সতীর্থ এক ফুটবলারের গালে চুম্বন করে বসেছিলেন হার্থা ডিফেন্ডার ডেড্রিক বোয়াতা।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

সালমানকে কটাক্ষ সোনা মহাপাত্রের

সুপ্রভাত ডেস্ক :
‘প্রেমিকার মাথায় সালমান খানের বোতল ভাঙার গল্প শুনেই বড় হয়েছি আমরা’, ফের সালমান খানকে কটাক্ষ গায়িকা সোনা মহাপাত্রর। সালমান খানের সঙ্গে সোনা মহাপাত্রর সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত। একাধিকবার সালমানকে নিয়ে নেটদুনিয়ায় মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে সোনাকে। অতীতেও ‘ভারত’ ছবির কাস্টিং থেকে প্রিয়াঙ্কা সরে যাওয়ায় সালমানের টুইট ঘিরে কটাক্ষ করেছিলেন সোনা। এবারও নারী নির্যাতন, গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে নেটদুনিয়ায় সরব হতে গিয়ে নাম উল্লেখ করে সালমানকে কটাক্ষ করলেন বলিউড গায়িকা।
আমির সিদ্দিকির ভাই, ফয়জল সিদ্দিকির টিকটক ভিডিও নিয়ে নেটদুনিয়া বর্তমানে বেশ সরগরম। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে প্রেমিকার কাছ থেকে প্রত্যাখিত হয়ে মেয়েটির মুখে কিছু তরল পদার্থ ঢেলে দিচ্ছেন ফয়জল। যার জন্যে মেয়েটির চেহারা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গিয়েছে। প্রেমিকার প্রতি এমন নির্মম প্রতিশোধের ভিডিওতেই নারী নির্যাতনকে আরও উসকে দেওয়ার স্ফুলিঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন তারকারা। যার জেরে অনেকেই সরব হয়েছেন এই টিকটকারকে নিয়ে। দিন কয়েক আগে ইউটিউবার কেরি মিনাতিও মোক্ষম দিয়েছেন ফয়জলকে। এবার সেই টিকটকারকে নিয়েই সরব হলেন সোনা।
ফয়জলের টিকটক ভিডিও শেয়ার করে মেয়েদের প্রতি হওয়া নির্যাতন, হেনস্তা নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করেছেন সোনা। সেই প্রসঙ্গেই সালমানের নাম টেনে এনে বলেছেন, ‘নারীদের নির্যাতন আমাদের সংস্কৃতিতে একটা তুচ্ছ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আসলে! প্রেমিকার মাথায় জনসমক্ষে সালমানের বোতল ভাঙার গল্প শুনেই তো বড় হয়েছি আমরা। যদিও উনি দেশের একজন ডাকাবুকো তারকা! এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।’
সোনা বরাবরই স্পষ্টবাদী। #মিটু নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন। অনু মালিকের সঙ্গে তার তরজার বিষয়ও অজানা নয়। সোনার প্রতিবাদের জেরে ইন্ডিয়ান আইডল-এর বিচারক পদ থেকে অপসারিত হতে বাধ্য হয়েছিলেন অনু। সালমান অবশ্য সোনাকে নিয়ে কোনও দিনই পালটা মন্তব্য করেননি।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।

নওয়াজউদ্দিনকে স্ত্রীর ডিভোর্সের নোটিশ

সুপ্রভাত ডেস্ক :
অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি কে তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি ডিভোর্সের নোটিশ পাঠালেন। জি নিউজ-এর কাছে আলিয়া জানান, তাদের বৈবাহিক জীবনে বহুদিন ধরেই বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছিল। আর সেই সমস্যাগুলি বেশ গুরুতর বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আর তাই নওয়াজকে ডিভোর্স এবং মেনটেনেন্স চেয়ে আইনি নোটিশ নোটিশ পাঠালেন তার স্ত্রী। তবে ঠিক কী নিয়ে তাদের বৈবাহিক জীবনে সমস্যা চলছিল সেই ব্যাপারে বিশদে কিছু জানাননি আলিয়া সিদ্দিকি।
তিনি জানান, এতই সমস্যা হচ্ছিল যে এই সম্পর্ককে আর টেনে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। বিগত ১০ বছর ধরে বিবাহিত নওয়াজ এবং আলিয়া। সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। আর মূল সমস্যা নওয়াজ ও তার ভাইকে ঘিরে। তাই ডিভোর্সের পথেই হাঁটতে চাইছেন তিনি। এর থেকে বেশি যদিও কিছু জানাননি আলিয়া।
গত ৭ মে ই-মেইল এবং হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে নওয়াজকে ডিভোর্সের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আলিয়ার আইনজীবী। তবে তার এখনও কোনো উত্তর আসেনি অভিনেতার পক্ষ থেকে। বর্তমানে করোনা সংক্রমনের জন্যই স্পিড পোস্ট এ নোটিশ পাঠানো সম্ভব হয়নি। আইনজীবী বলছেন, ‘আমার মক্কেলের তরফ থেকেই নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকিকে ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ মারফত আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো উত্তর দেননি নওয়াজ। আমার মনে হয় তিনি চুপ থেকে ব্যাপারটি এড়িয়ে যেতে চাইছেন। আইনি নোটিশ দিয়ে তার থেকে ডিভোর্স ও মেনটেনেন্স দাবি করা হয়েছে। কী অভিযোগে উপর ভিত্তি করে ডিভোর্স চেয়েছেন আমার মক্কেল তা আমি বলবো না। কিন্তু এটুকু বলব বিষয়গুলি খুবই গুরুতর।’
প্রসঙ্গত গত ১১ মে মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশে মুজাফফরনগরের বাড়িতে গিয়েছেন নওয়াজ। লকডাউনে পাওয়া ট্রাভেল পাস ব্যবহার করেই তিনি পুরনো বাড়ি পৌঁছতে পেরেছেন। সেখানে নিজেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টিনে রেখেছেন তিনি। এমনকি করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করান তিনি। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট যদিও নেগেটিভ এসেছে।
রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও নিজেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টিনে রাখাই শ্রেয় মনে করছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তার পরিবার ও একইসঙ্গে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

করোনা : অবশ্যই মানতে হবে এসব নিয়ম

সুপ্রভাত ডেস্ক :
লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে মানেই এই নয় যে কোভিড-১৯ ভাইরাস আমাদের বিদায় জানিয়ে ফিরে যাচ্ছে। রোদ, গরম, নিম্নচাপ বা ভ্যাপসা আবহাওয়া ভাইরাসকে বাড়তে দেয় না বলে অনেকে অনেক তত্ত্ব খাড়া করলেও আদতে এ সব তত্ত্ব ভিত্তিহীন বলেই দাবি ভায়রোলজিস্টদের। বিশেষ করে গোষ্ঠি সংক্রমণ শুরু হলে কিছু বাড়তি সুরক্ষা না নিলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রতি পদে। তাই এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু নিয়মকে অভ্যাসে পরিণত করে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
বাজার, দোকান বা অফিস থেকে ফিরে পোশাক বদলান
লকডাউনের দিনে অনেক মানুষই কোভিড-১৯ এড়াতে দিন তিন-চারেকে এক বার বাজার করেন। অনেককে আবার নিয়ম করে অফিসেও যেতে হচ্ছে। সাবধানতা হিসেবে বাজার করে বা অফিস থেকে বাড়ি ফিরে পোশাক ছেড়ে সম্পূর্ণ ভাবে স্নান সেরে ফেলার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মোহালির ইসার (আইআইএসইআর)-এর হিউম্যান প্যাথোজেনিক ভাইরাসের সংক্রমণজনিত অসুখের গবেষক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘হাত-মুখ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার পাশাপাশি পোশাক পরিবর্তন করাও বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলা উচিত। কারণ, এরোসোল অর্থাৎ বাতাসে ভাসমান কতা জামাকাপড়ে লেগে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।’ যদিও কোভিড-১৯ ভাইরাস মশা মাছির মত উড়ে বেড়ায় না কিন্তু এরোডায়ানামিক্সের তত্ত্ব অনুযায়ী, এরোসলে কিছুক্ষণ (কম বেশি ৩০ মিনিট) ভাসমান অবস্থায় থাকে এই অতিমারি সৃষ্টিকারী ভাইরাস। তাই ভিড় জায়গায় গেলে বা দীর্ঘক্ষণ বাড়ির বাইরে থাকলে পোশাক পরিবর্তন করা বাধ্যতামূলক বলে মনে করেন ইন্দ্রনীলবাবু।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস জানালেন বাড়ির পাশের দোকানে কিছু কিনতে গেলে বা নিজের গাড়ি চালিয়ে কাজের জায়গায় গেলে, ফেরার পর পোশাক বাথরুমে আলাদা ভাবে রেখে দেওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয় বার পরে তারপর কেচে নিলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যদি বাজার-দোকানে খুব ভিড় থাকে, কিংবা বাড়িতে বয়স্ক বা ক্রনিক অসুখে ভুগছেন এমন কেউ থাকেন তবে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বাড়ি ফিরেই সাবান দিয়ে জামাকাপড় কেচে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
শরীরের বাইরে ভাইরাস কত ক্ষণ সক্রিয় থাকতে পারে?
‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানা গিয়েছে, যে সহায়ক পরিবেশ পেলে নভেল করোনাভাইরাস মানুষের শরীরের বাইরে ৩ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। বিশেষ করে ধাতুর তৈরি জিনিসে তিন দিন ও প্লাস্টিক এবং কাডবোর্ডে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত এদের সক্রিয় থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সুতি বা পোশাকের অন্যান্য কৃত্রিম তন্তুতে নভেল করোনাভাইরাসের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে এখনও সবটা জানা যায়নি। তবে করোনাভাইরাসের সমগোত্রীয় সার্স রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের নিয়ে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, এটি কাগজ ও কাপড়ের উপর সর্বাধিক পাঁচ মিনিটের বেশি সক্রিয় থাকতে পারে না। কোনও পার্সেল এলে স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে নিয়ে রোদ্দুরে বা আলাদা জায়গায় রেখে দিন।
অনলাইনের পার্সেল থেকেও সাবধান থাকতে হবে
অনেকেই লকডাউনের দিনে অনলাইনে দরকারি জিনিস আনাচ্ছেন। যে হারে আমাদের দেশে কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে এই ব্যাপারেও কিছু সাবধানতা মেনে চলা উচিত। যদিও পার্সেল থেকে অসুখ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা এখনও পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি, কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন এই আরএনএ ভাইরাসটির চরিত্র সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি না, তাই সচেতন থাকাই একমাত্র পথ। ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এর সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে এই এই ভাইরাস কার্ডবোর্ডে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। তাই বাড়িতে কোনও পার্সেল এলে স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে নিয়ে রোদ্দুরে বা আলাদা জায়গায় রেখে দিন। পরের দিন প্যাকেট খুললে ভাইরাসের সক্রিয়তা চলে যাবে বলে মনে করেন নভেল করোনার গবেষক ইন্দ্রনীলবাবু।
লন্ড্রিতে কাপড় কাচতে দেওয়া কতটা নিরাপদ?
লকডাউনের কারণে গৃহসহায়িকা নেই বলে অনেকে লন্ড্রিতে কাপড় কাচতে দিচ্ছেন। এর থেকেও কি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে? ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এরোসল বিজ্ঞানী লিনসে মার জানিয়েছেন, সাধারণত ডিটারজেন্ট দিয়ে পোশাক কাচা হয় ও গরম বাতাস দিয়ে শুকিয়ে নেওয়া হয়। করোনাভাইরাস সাবান দিলেই ধ্বংস হয়ে যায়। তাই লন্ড্রিতে কাচলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ভয় থাকার কথা নয়। একই কথা বললেন অরিন্দমবাবুও। লন্ড্রি থেকে কাচিয়ে আনা পোশাক রোদে রেখে ব্যবহার করতে পরামর্শ দিলেন ইন্দ্রনীলবাবুও। তবে বাড়িতে কোনও বয়স্ক মানুষ, যাদের কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে এমন কোনও মানুষ থাকলে বা ক্যানসারের কেমোথেরাপি চলছে এমন কোনও সদস্য থাকলে বাইরে কাচতে দেবেন না বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এটা বাড়তি সতর্কতা। বাড়ির বাইরে বেশিক্ষণের জন্য গেলে মাস্কের সঙ্গে শাওয়ার ক্যাপ বা টুপি পরুন।
চুল বা গোঁফ-দাড়ি থেকে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি কতটা?
নভেল করোনাভাইরাসের ছোঁয়াচ বাঁচাতে বাইরে থেকে ফিরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নেওয়া কি খুব প্রয়োজন, অথবা গোঁফ-দাড়িতে কি ভাইরাস সক্রিয় থাকে? এ রকম নানান প্রশ্ন অনেকের মনেই জমে আছে। বাড়ির বাইরে বেশি ক্ষণের জন্য গেলে মাস্কের সঙ্গে শাওয়ার ক্যাপ বা টুপি পরে থাকতে পারলে ভাল হয়। বিশেষ করে যাদের পথে ঘোরাঘুরি করে কাজ করতে হয় তাদের জন্যে ফেস শিল্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। সাধারণ ভাবে সোসাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চললে চুল বা দাড়ি থেকে ভাইরাস ছড়ানোর কথা নয়। কোনও কোভিড-১৯ আক্রান্ত যদি আপনার মাথার কাছে হেঁচে বা কেশে দেন তা হলে ঝুঁকি একটা থাকেই। কিন্তু রোজ বাইরে যেতে হলে যে চুল বা দাড়ি-গোঁফ থেকে ভাইরাস ছড়াবে এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই।
‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি’-র ‘স্কুল অব মেডিসিন’-এর অ্যান্ড্রু জানওয়াস্কি নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সচরাচর চুল বা দাড়ি মারফত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে না। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসও এই বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছেন না।
খবর : আনন্দবাজার’র।

করোনাভাইরাস: দেশে রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৩৭০ জনের

সুপ্রভাত ডেস্ক :

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৫১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

এর ফলে বাংলাদেশে মোট কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৫, ১২১ জন।

এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এই রোগে ৩৭০ জন মারা গেলেন।

আগের দিন সোমবার বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের রেকর্ড পরীক্ষা, রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়। ওইদিন বাংলাদেশে ১৬০২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় ৪২টি ল্যাবে পরীক্ষা করার মাধ্যমে করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, এ সময় ৮, ৪৪৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

 

করোনা ভাইরাস : সাংবাদিক পুলিশসহ ৫৪ জন আক্রান্ত

3D illustration of Coronavirus, virus which causes SARS and MERS, Middle East Respiratory Syndrome

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাংবাদিক পুলিশসহ নতুন করে ৫৪ জন করোনায় আক্রান্তহয়েছেন। এরমধ্যে মহানগরীর ২১ জন ও উপজেলার ৩৩ জন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে সোমবারের ২২২টি নমুনা পরীড়্গায় ৫৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৫৬ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের ৫৪ জন, বাকি দুই জন খাগড়াছড়ি জেলার। চট্টগ্রামে নতুন করে ৫৪ জন আক্রান্তহওয়ায় করোনায় মোট আক্রানেত্মর সংখ্যা ৮৪৫ জন। এদের মধ্যে সুৃ হয়ে বাড়ি গেছে ১১৩ জন ও মারা গেছেন ৩৩ জন।

এদিকে সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের করোনা শনাক্ত হওয়া ৫৪ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২১ জন ও উপজেলার ৩৩ জন। উপজেলার ৩৩ জনের মধ্যে পটিয়ার ৯ জন, সীতাকুণ্ডের ৮ জন, হাটহাজারির ৭ জন, বাঁশখালীর ২ জন, লোহাগাড়ার ৫ জন, চন্দনাইশের ১ জন ও মিরসরাইয়ের ১ জন করোনা আক্রান্তহয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ১২৪টি নমুনার মধ্যে ২৭টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২৭টি পজিটিভের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২১টি ও উপজেলার ৬টি। উপজেলার ৬টি হলো পটিয়া-১, চন্দনাইশ ১, মিরসরাই ১, সীতাকু- ১, হাটহাজারি ১ ও বাঁশখালী ১ জন। মহানগরীর ২১ জনের মধ্যে তিনজন সাংবাদিক রয়েছেন। তিন সাংবাদিকের মধ্যে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের মোহাম্মদ আলমগীর এবং চ্যানেল ২৪ এর জোবায়ের মনজু এবং মোহাম্মদ হারম্নন। এর আগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার আহসানুল কবির রিটনও করোনায় আক্রান্তহয়েছিলেন। এছাড়া বাকি ১৮ জনের মধ্যে আলফালাহ গলিতে একজন, দামপাড়ায় তিনজন পুলিশ সদস্য, মিস্ত্রীপাড়ায় দুই জন, হালিশহর ছোটোপুল পুলিশ লাইনে একজন, বন্দরটিলায় একজন, শিল্প পুলিশের একজন, পাহাড়তলীতে একজন, আকবরশাহ মাজার এলাকায় একজন ও বায়েজীদ টেক্সটাইলে তিনজন আক্রান্তহয়েছেন।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৪টি নমুনার মধ্যে ২৪টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২৪টির মধ্যে ২২টি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার এবং দুটি খাগড়াছড়ি জেলার। চট্টগ্রামের ২২টির মধ্যে পটিয়ার ৮জন, সীতাকু-ের ৭ জন, হাটহাজারির ৬ জন ও বাঁশখালীর একজন রয়েছেন। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২৪টি নমুনার মধ্যে ৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই পাঁচ জনের সবাই লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা। তবে গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবের রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, রিপোর্ট তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। এটি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে।

এদিকে অনতুন করে ৫৪ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৮৪৫ জন। এর আগে ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্তহয়েছিল। এরমধ্যে সাতকানিয়ার এক বৃদ্ধ একজন মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, পটিয়ায় ৬ বছরের এক শিশু মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দেড় ঘন্টার মধ্যে,  সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনায় শনাক্ত হয়েছেন, নিমতলা এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সাগরিকার এক নাইটগার্ড মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, মোহরার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন এবং সর্বশেষ এনায়েত বাজারের লোকটি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হলো। এছাড়া ৬ মে পাহাড়তলী লাকী হোটেল মোড় এলাকার বাসিন্দা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া গত ৬ মে মারা যাওয়ার পর নমুনা রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিনজন, ৭মে বৃহস্পতিবার সাগরিকা এলাকার এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন। ৮মে রাতে বিআইটিআইডিতে আইসোলেসনে থাকা অবস্থায় মারা গেল ৫৫ বছর বয়সী এক পুরম্নষ। এছাড়া গত ১২ মে মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেল হাটহাজারির এক নারী। করোনা শনাক্ত নিয়ে ৩৭ নম্বর হালিশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গত ১৩ মে সকালে মারা যাওয়ার পর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে আরো তিনজন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩৩ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১১৩ জন।

 

২১ বছর পর বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’

মোংলা ও পায়রায় ৭, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত

রায়মঙ্গল নদীর মোহনা দিয়ে প্রবেশ করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি

ভূঁইয়া নজরুল :

বছরের এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। গত বছর যেমন ‘ফনি’ আমাদের ভুগিয়েছে। এবার ভোগাতে আসছে ‘আম্ফান’। তবে বঙ্গোপসাগরে গত ২১ বছরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে সুপার সাইক্লোন তকমা নিয়ে আসছে। ১৯৯৯ সালে উড়িশ্যা সাইক্লোন নামে একটি ঘূর্ণিঝড় ২৫ অক্টোবরে সৃষ্টি হয়ে ৩ নভেম্বরে উড়িশ্যার উপর দিয়ে আঘাত করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ক্ষয়ক্ষতি করেছিল। সেটি ছিল সুপার সাইক্লোন। আর সেই ঘূর্ণিঝড়ের পর এবার সৃষ্টি হলো সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এটিকে সুপার সাইক্লোন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের ওয়েবসাইটে তাদের ১৩ নম্বর বুলেটিনে বলেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সাগরে থাকতেই সুপার সাইক্লোন হিসেবে রেকর্ড হবে। তবে উপকূলে আঘাতের সময় এর গতিবেগ কমে শক্তিশালী সাইক্লোনে পরিণত হবে। অপরদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এটিকে তাদের ২০ নম্বর বুলেটিনে আম্ফান কে সুপার সাইক্লোন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

সুপার সাইক্লোন কেন?

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের ওশেনোগ্রাফি বিষয়ক একটি প্রকল্পের ডেপুটি টিম লিডার সমরেন্দ্র কর্মকার বলেন, যদি কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটারের বেশি ( টানা তিন মিনিট) থাকে তখন তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের গতিবেগ ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর দেখিয়েছে ২৪০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ২০ নম্বর বুলেটিনে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড হতে পারে বলে উলেস্নখ করেছে। সেই হিসেবে তা সুপার সাইক্লোন।’

এর আগে কবে সুপার সাইক্লোন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে ১৯৯৯ সালে উড়িশ্যা সাইক্লোন নামে একটি সাইক্লোন হয়েছিল সেটিকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়ে থাকে। সেটার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার।

এদিকে ২০০৭ সালে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত করা ঘূর্ণিঝড় সিডরের গতিবেগ ছিল ২১৫ কিলোমিটার।

স্যাটেলাইট চিত্রে সুপার সাইক্লোন আম্পানের গতিপথ

কোন দিকে আঘাত করবে এই ঘূর্ণিঝড়?

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মলিস্নক বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি খুবই শক্তিশালী একটি ঝড়। এর পরিধিও অনেক বড়। এটি দেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে।

এতো বিশাল এলাকার উপর দিয়ে কিভাবে অতিক্রম করবে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পুরো উপকূলীয় এলাকা ক্ষতিগ্রসত্ম হবে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে খুলনা ও বরিশাল উপকূলীয় এলাকা। এজন্য সেসব এলাকায় বিপদ সংকেত সাত দেখানো হয়েছে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজারকে ছয় নম্বর দেখানো হয়েছে।

আবহাওয়া বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিশেস্নষণ করে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের বালেম্বর হলদিয়া ও কলকাতার খড়গপুর আঘাতের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যবর্তী রায়মঙ্গল নদীর মোহনা দিয়ে প্রবেশ করবে। প্রবেশের সময় তা স্থল নিম্নচাপ আকারে সাতড়্গীরা, কুষ্টিয়া ও যশোর হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট, আকুওয়েদার ও ওয়েদার আন্ডারগ্রাইন্ড দেখে তাই মনে হচ্ছে। একই মন্তব্য করেন বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদ সমরেন্দ্র কর্মকারও।

এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ডান দিকে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল ডান দিকে থাকবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকায় বেশি ক্ষতি হবে।

এবারো রক্ষা করবে সুন্দরবন

২০০৭ সালে ডিসেম্বরে আঘাত করা সিডরে দেয়াল হিসেবে কাজ করেছিল সুন্দরবন। সেবার এই সুন্দরবনের কারণে শক্তিশালী সেই ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ব্যাপক ক্ষতি হয়নি দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে। এবারো কি একই অবস্থা হবে? এমন প্রশ্ন করা হলে আবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন,‘ সুন্দরবনের কারণে দেশের ওই এলাকাটি শক্তিশালী ঝড়গুলো থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পায়। সুন্দরবনে আঘাতের পর এর গতিবেগ কমে যায়।

৭০০ কিলোমিটার ব্যাস আম্ফানের

এবারের ঘূর্ণিঝড়ের পরিধি কতো কিলোমিটার জানতে চাইলে বিশ্বজিত চৌধুরী বলেন, ৭০০ কিলোমিটার ব্যাস আম্ফানের। পুরো বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় প্রভাব পড়তে পারে এই ঝড়ে।

বাংলাদেশ উপকূলের দৈর্ঘ্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আবুল কালাম মলিস্নক বলেন, খুলনা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যদি সোজা সরলরেখা টানি তাহলে ৩০০ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্য হবে না। তাই এবারের ঘূর্ণিঝড়টি পুরো এলাকায় প্রভাব বিসত্মার করবে। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে খুলনা, বরিশাল উপকূলীয় এলাকায়।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২০ নম্বর বুলেটিনে বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান গতকাল সোমবার রাত ৯ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১০২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা খেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ২২৫ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্য রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা ও চট্টগ্রামের উপকূলের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এজন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমের সময় উপকূলীয় এলাকায় প্রচন্ড গতিতে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘটাতে পারে। এজন্য সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং এসব এলাকার পাশ্ববর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিকের চাইতে চার ও পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসব এলাকায় ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

চলতি মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা একাধিক নিম্নচাপ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এসব নিম্নচাপ থেকে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনাও বলা হয়েছে।  বছরের এসময়ে সাগরে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে থাকে। এপ্রিল-মে ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম।

 

কর্মহীন মানুষের ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিন : সালাম

অসহায়দের জন্য খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তর করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম

করোনা ভাইরাস সংকটকালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৩য় পর্যায়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের অংশ হিসেবে আজ ১৮ মে (সোমবার) সকালে সার্সন রোডস্থ জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে সকল উপজেলায় হতদরিদ্র ও কর্মহীন ৭ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণের লক্ষে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দের নিকট খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তর করেন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ সালাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল ওহাব, শেখ আতাউর রহমান, জাফর আহমেদ, আ ম ম দিলশাদ, মো. জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ ইউনুস, আবু আহমেদ চৌধুরী, আকতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ, মহিলা সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে হাবীবাসহ পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এমএ সালাম বলেন, এই সামগ্রী অসহায়-দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন। করোনা ভাইরাস একটি ঘাতক মহামারি। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে প্রত্যেককে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি সবাইকে ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে হবে। এই দুর্যোগ মুহূর্তে যার যার অবস্থান থেকে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো বিত্তবানসহ সকলের নৈতিক দায়িত্ব। বিজ্ঞপ্তি

এ মুহূর্তের সংবাদ

মশাবাহিত রোগ বাড়ছে

চমেক হাসপাতাল : হৃদরোগ চিকিৎসায় অবহেলা নয়

চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানে অবৈধভাবে গ্যাস পরিবহনের সময় লিক

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেপ্তার

সাবেক চেয়ারম্যানকে ধরে পুলিশে দিল বৈষম্যবিরোধীরা

বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি

সর্বশেষ

পাহাড় ও টিলায় নির্মাণ হচ্ছে বেসমেন্টসহ বহুতল ভবন

মশাবাহিত রোগ বাড়ছে

চমেক হাসপাতাল : হৃদরোগ চিকিৎসায় অবহেলা নয়

চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানে অবৈধভাবে গ্যাস পরিবহনের সময় লিক

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেপ্তার

সাবেক চেয়ারম্যানকে ধরে পুলিশে দিল বৈষম্যবিরোধীরা

টপ নিউজ

পাহাড় ও টিলায় নির্মাণ হচ্ছে বেসমেন্টসহ বহুতল ভবন

এ মুহূর্তের সংবাদ

মশাবাহিত রোগ বাড়ছে

এ মুহূর্তের সংবাদ

চমেক হাসপাতাল : হৃদরোগ চিকিৎসায় অবহেলা নয়