সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি

বিটিআরসির গণশুনানি

নিজস্ব প্রতিবেদক »

গ্রাহকদের উপস্থিতিতে গণশুনানির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এতে সশরীরে অংশ নিতে ৮৪৮ জন ও অনলাইনে ৯৪ জন নিবন্ধন করলেও সশরীরে ১৮২ জন এবং অনলাইনে ১৭ জন অংশ নেন।

তারা মুঠোফোন ব্যবহারে নেটওয়ার্কের সমস্যাসহ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভায়ডারদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাদের এ সমস্যাগুলো নিয়ে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিরা উত্তর দেন। সবশেষে সকল সমস্যা আমলে নিয়ে সেগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার।

গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন গণশুনানি কমিটির সভাপতি ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর শিকদার। গণশুনানিতে সংস্থার সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত গণশুনানির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে করেন। তিনি জানান, গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারনেট গতি বাড়ানোর জন্য গত ১ বছরে বিটিআরসি বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং ইন্টারনেট গতি যাচাই করতে ডিভাইস ক্রয় করা হয়েছে। কলড্রপ নিরসনে কলড্রপ ফেরতের জন্য এ বছর নতুন নির্দেশনা চালু এবং প্রতিটা কলড্রপে যা খরচ হয় তার তিনগুণ ফেরত দেওয়ার বিধান চালু করা হয়েছে। গ্রাহক নিজেই *১২১*১২# ডায়াল করে কলড্রপ যাচাই করতে পারবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া গ্রাহকদের জন্য আনলিমিটেড ডাটা প্যাক চালু এবং ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ড তথা অব্যবহৃত ডাটা পরবর্তী একই প্যাকেজে ব্যবহারের জন্য ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা চালু করা হয়েছে।

স্বাগত বক্তব্যে কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ১২ কোটি ৬২ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহক, ১৮ কোটি ১৬ লাখ মোবাইল সিম গ্রাহক সংখ্যা ও ১০৪ দশমিক ১৭ ভাগ ইন্টারনেট ডেনসিটি এবং নভেম্বর ২০২২ সাল ব্যান্ডউইথ তথা ডাটার ব্যবহার হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৯ জিবিবিএস। প্রতিটি গণশুনানি যেকোনা প্রতিষ্ঠানের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ায় এবং গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে আরো কতটুকু উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে কাজ করবে বিটিআরসি।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, গণশুনানিতে যেসব অভিযোগ পাওয়া যায়, সেগুলো আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে সহায়ক হয়। গণশুনানিতে অনেক অজানা প্রশ্ন উঠে আসে যা গ্রাহক জানতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন হচ্ছে । ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় কমিশনের লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবীর লিগ্যাল এ লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল আউয়াল উদ্দীন আহমেদ এবং বিটিআরসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।