সপ্তাহজুড়ে থাকবে গরমের ভোগান্তি

সুপ্রভাত ডেস্ক »

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় সোমবার (৮ মে) সকালে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে এটি ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আর এতে বাড়বে তাপমাত্রা। দেশের একটি বড় অংশজুড়ে চলা তাপপ্রবাহের ভোগান্তি চলতি সপ্তাহে কাটার সম্ভাবনা নেই। আগামী শুক্র বা শনিবারে বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বার্তায় বলা হয়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৯ জেলা ও তিন বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরও বিস্তার ঘটতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, লঘুচাপটি মধ্য বঙ্গোপসাগরে আসতে পারে ১২ বা ১৩ মে। সেসময় এর প্রভাবে বাংলাদেশে কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। তখন গরম কিছুটা কমতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রির ওপরে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে আগামী কয়েক দিনে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সেটি যদি বাংলাদেশ বা আশপাশের অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যায়, তার প্রভাবে দেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে আগামী সপ্তাহে দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সোমবার সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, খুবই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে মোখা ১৪ মে রাতে সরাসরি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে অথবা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর অতিক্রম করতে পারে।

ফেসবুকে মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ‘৮ মে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল নির্দেশ করছে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা সরাসরি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে ১৪ মে রাত ১২টার পরে থেকে ও আমেরিকান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে ঘূর্ণিঝড় মোখা সরাসরি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে ১৪ মে সকাল ৬টার পর থেকে স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনার কথা। খবর ঢাকামেইল।

তিনি আরও লিখেছেন, এখানে উল্লেখ যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান (২০২০ সলের ২০ শে মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছিল যার বাতসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার)। স্থলভাগে আঘাত করার দিন যত বেশি কাছাকাছি এসেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল নির্দেশিত পথ তত বেশি সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল আমেরিকান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল নির্দেশিত পথ অপেক্ষা।