হবে বঙ্গবন্ধু কর্ণার
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :
২০২১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী তথা মুজিববর্ষের সমাপনীকে ঘিরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এলাকার ১শ৪৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষাবিভাগ। বৈশি^ক মহামারি করোনা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে প্রতিটি বিদ্যালয়কে পরিকল্পিত উন্নয়নে ঢেলে সাজানোর মাধ্যমে নতুন বছরে এইধরনের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। গত সোমবার চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষ মোহনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (এসএমসি) কমিটির সভাপতিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর। মতবিনিময় সভায় চকরিয়া উপজেলার ৮০টির বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি উপস্থিত থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, নানা সমস্যা, লেখাপড়ার অগ্রগতি, পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট এবং বিদ্যালয়কে ঢেলে সাজাতে উপজেলা প্রশাসনের পরিকল্পনার সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। মতবিনিময় সভায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মুজিব শতবর্ষের আগে আমরা প্রতিটি বিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কর্ণার উপহার দেব। যেখানে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি, তাঁর লেখা আত্মজীবিনী ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনভিত্তিক বিভিন্ন বই। উপজেলার সবকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সাজানো হবে লাল সবুজ রঙে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চকরিয়া উপজেলার ৭৫টি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যারমধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য দুই কোটি টাকা বিভাজন করা হয়েছে। মতবিনিময় সভায় ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীর এইদিনে চকরিয়া উপজেলাবাসির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ একটি বড় অর্জন উপহার দিয়েছেন। যেটি অতীত ইতিহাসে ছিল কল্পনাপ্রসুত। মতবিনিময় সভায় চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার বলেন, প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও চেতনা নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে ছড়িয়ে দিতে এবং মায়ের ভাষা বাংলার প্রচলন সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে আমরা এই উদ্যোগটি গ্রহন করি। পাশাপাশি শহীদ মিনার দেখে শিশুদের স্কুলগামী করা, ঝরে পড়া রোধ, জাতীয় পতাকা ও সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মূল্যবোধের হাতেখড়ি দেওয়ার লক্ষ্যেই এ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ ছিল আমাদের। আর প্রতিটি বিদ্যালয় কমিটি, শিক্ষক, অভিভাবক মহল সবার সহযোগিতায় আমরা শহীদ মিনার নির্মাণকাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।