শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে কুমারী পূজার আয়োজন

SONY DSC

শারদীয় দুর্গোৎসব

রুমন ভট্টাচার্য
নগরীর পাথরঘাটা শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরের পূজাম-পে প্রতিবারের মত এবারও অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। শারদীয় দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজার আয়োজন করা হয়। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুমারী পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে মন্দির প্রাঙ্গণে।
গতকাল মঙ্গলবার মন্দিরের পুরোহিত ও অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সাধু মোহন্ত মহারাজ বিষয়টি সুপ্রভাতকে নিশ্চিত করেন।
মন্দির সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকে পাথরঘাটা শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কুমারী পূজাকে ঘিরে প্রতিবছর মন্দির প্রাঙ্গণে প্রচুর ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। তবে এবার করোনা মহামারীর কারণে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আগমন সীমিত করা হয়েছে। শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির ছাড়া নগরের আর কোনো পূজাম-পে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয় না। সে কারণে কুমারী পূজাকে ঘিরে ভক্তদের মাঝে আগ্রহ থাকে সবচেয়ে বেশি। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন এই কুমারী পূজা দেখতে। গতবছরও পূজার দিন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ভিড় ছিল উপচে পড়া।
স্বাস্থ্যবিধির মানার বিষয়ে মন্দিরের পুরোহিত ও অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সাধু মোহন্ত মহারাজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘এবার সীমিত আকারে আয়োজন করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এছাড়া ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আগমন সীমিত করা হবে। এ নিয়ে আমাদের প্রশাসনের সাথেও ইতোমধ্যে কথা হয়েছে।’
করোনাকালীন সময়ে কুমারী পূজার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনার কবল হতে দুঃখ লাঘবের উপায়ে কুমারী পূজার আয়োজন অপরিহার্য। মাতৃরূপে ঈশ্বরেরই একটি আরাধনা কুমারী পূজা। কুমারীতে সমগ্র মাতৃজাতির শ্রেষ্ঠ-শক্তি পবিত্রতা, সৃজনী ও পালনী শক্তি, সকল কল্যাণী শক্তি সূক্ষ্মরূপে বিরাজিত। কুমারী পূজা মঙ্গলকর। কুমারী পূজা ছাড়া দুর্গাপূজা স্বার্থক হয় না।’
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে মহাঅষ্টমীর দিন মানবকল্যাণের জন্য ১ থেকে ১৬ বছরের কুমারী কন্যাকে মনোনীত করা হয়। বয়সভেদে নাম হয় ভিন্ন। এক বছর বয়সে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কালিকা, পাঁচে সুভগা, ছয়ে উমা, সাথে মালিনী, আটে কব্জিকা, নয়ে অপরাজিতা, দশে কালসন্ধর্ভা, এগারোয়া রুদ্রানী, বারোয়, ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষ্মী, চৌদ্দয় পীঠনায়িকা, পনোরয় ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোল বছরে অম্বিকা বলা হয়।