রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনা রাষ্ট্রদূতের আশাবাদ

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। ফাইল ফটো

সুপ্রভাত ডেস্ক »

“রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার ভিত্তিতে তাদের প্রত্যাবাসন হবে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই হবে। আমি এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।”

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য চীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ।

“আমি মনে করি কিছু অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রত্যাবাসন হয়নি। আশা করছি, এ বছর আমরা তা অর্জন করতে পারব,” আজ চীনাস্থ দূতাবাস আয়োজিত প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘স্প্রিং ডায়লগ উইথ চায়না’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এই সংলাপের সহ-আয়োজক ছিল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিসিএবি)।

লি জিমিং বলেন, “আসলে,আমাদের কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা রয়েছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আগে প্রকাশিত হয়েছে এসব । কিন্তু এবার, কোনো পদক্ষেপ পুরোপুরি কিছু অর্জন করার আগ পর্যন্ত দল বা ঐকমত্য নির্বিশেষে, কী ঘটছে, কী আলোচনা হয়েছে বা কী নিয়ে একমত হওয়া গেছে তা নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা উচিত নয়।

“একারণে দুর্ভাগ্যবশত আমি আপনাদের এ সম্পর্কে আরও তথ্য দিতে পারছি না। আমি এই মুহূর্তে একমাত্র যা বলতে পারি তা হলো, সাহায্য করতে এবং প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার জন্য সমস্ত চেষ্টা করছে চীন।”

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার ভিত্তিতে তাদের প্রত্যাবাসন হবে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই হবে। আমি এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।”

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য এক কোটি টাকারও বেশি চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে চীন সরকার।

সূত্র : টিবিএস