ম্যারাডোনার সেই বিখ্যাত গোলের বল বিক্রি

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জাদুকরি দুটি গোল করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। একটি গোলকে তো ‘গোল অব দ সেঞ্চুরি’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। অন্যটি নিয়েও কম বিতর্ক নেই ফুটবল বিশ্বে। হাত দিয়ে গোল করেছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। খবর জাগোনিউজের
ম্যারাডোনার হাত দিয়ে করা গোলটি- ফুটবলপ্রেমীদের মনে আজও অমলিন। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় থেকে শুরু করে দর্শক, সবাইকে হতবাক করে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা ফুটবলের রাজপুত্র। সবার অলক্ষ্যেই হাত দিয়ে গোলের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। তিনি নিজে পরে যদি স্বীকার না করতেন, হয়তো কেউ বুঝতেই পারতেন না গোলটি হাত দিয়ে করা ছিল। আর্জেন্টাইন ফুটবল রাজপূত্রের মৃত্যুর পর নিলাম হয়ে গেল ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া সেই বলটি। কিছুদিন আগেই ওই ম্যাচে ম্যারাডোনার জার্সিও নিলাম করা হয়েছিল। কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেল ঐতিহাসিক সেই বলটি। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড ম্যাচের রেফারির কাছেই ছিল ওই ম্যাচের বলটি। মেক্সিকোয় আয়োজিত হওয়া বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যাজটেকা বল। মেক্সিকোর প্রাচীন অ্যাজটেক সভ্যতার কথা মাথায় রেখেই এই বল ডিজাইন করা হয়েছিল। জানা গেছে, বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের পুরো সময়ে এই বলটি দিয়েই খেলা হয়েছিল। ইংল্যান্ডে সেই বলটি নিলামে তোলা হয় এবং নিলামে ২৪ লক্ষ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে ঐতিহাসিক বলটি। ধারণার চেয়ে দ্বিগুণ দামে এই বলটি বিক্রি হয়েছে। চলতি বছরের মে মাসেই নিলামে বিক্রি হয়েছিল আলোচিত সেই ম্যাচে ব্যবহৃত ম্যারাডোনার জার্সি। কাতার বিশ্বকাপেও দর্শকরা সেই জার্সি দেখতে পাবেন। কাতারের ৩-২-১ স্পোর্টস মিউজিয়ামে এই বিখ্যাত জার্সিটি রাখা হচ্ছে। ফলে কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া ফুটবল অনুরাগীদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে যে পরিণত হবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির সেই বিখ্যাত জার্সি, তা বলাই বাহুল্য। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা।
সেই গোল দু’টি নিয়ে আজও রয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
সম্ভবত, ফুটবল যতদিন থাকবে ততদিনই চলবে তা। যার মধ্যে অন্যতম হাত দিয়ে করা গোলটি।
যেখানে রেফারির চোখ এড়িয়ে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে আর্জেন্টাইন তারকা নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন।