মাস্ক না পরলে ব্যবস্থা

নগরীতে মাঠে নামলেন ম্যাজিস্ট্রেট
স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে হবে সামাজিক অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণে নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় মাস্কবিহীন লোকজনকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় দুই হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১ টা থেকে নগরের বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ মোড়, কোতোয়ালি ও নিউ মার্কেট মোড়,আন্দরকিল্লাহ, জিইসি মোড় এবং চকবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান, মিজানুর রহমান, মো. উমর ফারুক, মাসুদ রানা, নুরজাহান আক্তার সাথী ও সুনিয়া আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে মাস্ক না পরার প্রবণতা বাড়ছে। যার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। এতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে। আজ (সোমবার) থেকে আবারো আমরা প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আমরা সবাইকে সচেতন করার লক্ষে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, বিপণিবিতান, শপিং মল ও বাসস্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করবো। যদি মানুষ অবহেলা করে মাস্ক না পরে তাহলে আমরা আইন অনুযায়ী জরিমানা আদায় করবো।
জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিং
এদিকে জেলা প্রশাসক গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় করোনা মোকাবিলায় সর্বত্র মাস্ক পরিধান নিশ্চিতসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে মোবাইল কোর্ট ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, করোনার ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামে প্রথম দিকে তেমন সাড়া না পড়লেও সকল সরকারি অফিসের সামনে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদানের রেজিস্ট্রেশন বুথ খোলা ও বয়স কমানোর কারণে এ কার্যক্রম বেগবান হয়েছে। ভ্যাকসিন নেয়ার পর মানুষের ভয় কেটে গেছে। তারা মনে করেছে আর কোভিড হবে না। কিন্তু অবহেলা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে। করোনা মোকাবিলায় মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হলগুলোতে সামাজিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। এ জন্য ১১৩টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানাদিতে অতিরিক্ত জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) মো. বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ স ম জামশেদ খোন্দকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুমনী আক্তার, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান, সুজন চন্দ্র রায়, উমর ফারুক প্রমুখ।
জেলা প্রশাসনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান, আগ্রাবাদ মোড়ে মিজানুর রহমান, কোতোয়ালী ও নিউমার্কেট মোড়ে উমর ফারুক, আন্দরকিল্লা মোড়ে মাসুদ রানা, চকবাজার মোড়ে রেজওয়ানা আফরিন এবং জিইসি মোড়ে নুরজাহান আক্তার সাথী সচেতনতামূলক মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করেন।