মাতামুহুরীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

শ্যালোমেশিন জব্দের পর ধ্বংস

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :

চকরিয়ায় সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘনের মাধ্যমে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার ও শ্যালোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে আবারও অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে আদালত ১০টি মেশিন ও বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দের পর গুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এসময় অবৈধ বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ৬ জন শ্রমিককে আটক করেছে। তৎমধ্যে ৩ জন শ্রমিককে আদালত তিনটি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির একটিদল। আদালত সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোনাখালীস্থ বাগগুজারা সেতু পয়েন্ট ও বিএমচর ইউনিয়নস্থ নির্মাণাধীন রেলসেতু সংলগ্ন বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এবং বেতুয়া বাজার পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান বড় ড্রেজার ও শ্যালোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল কতিপয় চক্র। বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার জন্য ইতোপুর্বে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়ার পরও অভিযুক্ত চক্রের লোকজন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে। এরই জেরে সোমবার বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম অভিযান চালিয়ে এসব পয়েন্ট থেকে ১০টি মেশিন ও বেশকিছু পাইপ গুড়িয়ে দিয়ে ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার ও শ্যালোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল। এ কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোপুর্বে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তাগাদা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় সোমবার নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় জব্দের পর মোট ১০টি ড্রেজার ভেঙ্গে বেশকিছু পাইপ জব্দ করে গুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এসময় আটক করা হয়েছে বালু উত্তোলনে নিয়োজিত ৬ শ্রমিককে। তাদের মধ্যে ৩ জন শ্রমিককে তিনটি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর আটক ৩ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।