মহেশখালীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন প্রাণহানি

আহত ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ির নতুন বাজার মাঠে বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর মিয়াজির পাড়া জাহাঙ্গীরের ছেলে আহকান (১০), বলির পাড়া আজিজুল হকের ছেলে এরশাদ (১০) ও অপরজন বেলুন বিক্রেতার ছেলে। আহতদের মধ্যে আরও মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে।
বিস্ফোরণে আহতরা হলো জয়নাল (১২), শেকাব উদ্দীন (১৫), আক্কাস (১৮) ও নুরী (১৫), এরশাদ (১০), জিহাদুল ইসলাম আব্দুল্লাহ (১২), মারুফ (১২), রাহাত (১৩), মো. নুরী (১৩), আব্দুল মোনাফ তুহিন (১৪) সহ অন্যরা।
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ, আহতদের প্রতিজনকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেন।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য মাতারবাড়ির বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি মাতারবাড়ির সকল পর্যায়ের মানুষকে বিস্ফোরক জাতীয় জিনিস ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বেলুন বিক্রেতার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, মাতারবাড়ি ইউনিয়নের আজিজিয়া কাছেমুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানার বার্ষিক সভার ২য় দিনে নতুন বাজারের দক্ষিণ দিকে মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সভা উপলক্ষে বেলুন বিক্রিসহ হরেক রকম দোকান বসেছে। এতে জড়ো হয় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ সভা উপলক্ষে নতুন বাজার ইজারাদার স্কুলে বসা অস্থায়ী দোকান প্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিয়েছে। তবে বেলুন ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া না গেলেও তার বাড়ি চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকায় বলে জানা গেছে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে মহেশখালীর সার্কেল এএসপি জাহেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত তদন্তের পরে জানা যাবে।