ভাসানচর পৌঁছেছে আরও ২ হাজার রোহিঙ্গা

নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে ২৩তম ধাপে পৌঁছেছে আরও ২ হাজার ১৬৭ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ভাসানচর থেকে বেড়াতে যাওয়া ৬১৭ জন এবং নতুন এক হাজার ৫৫০ জন রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নৌবাহিনীর চারটি জাহাজযোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছান। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ৩৫ হাজার।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা পেঙ্গুইন, ডলফিন, টুনা ও বানৌজা তিমি যোগে ২ হাজার ১৬৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে নৌবাহিনীর ভাসানচর ক্যাম্পের নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাজ্জাদ জানান, নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ভাসনচর) মো. মাহফুজার রহমান (উপসচিব) জানান, ভাসানচর সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ধারণা দিতে গো অ্যান্ড সি ভিজিটের আওতায় যাওয়া ৬১৭ জনসহ মোট ২১৬৭ রোহিঙ্গা ভাসানচরে এসেছে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ঘনবসতিপূর্ণ আশ্রয় শিবির থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ভাসানচরে ৩৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা আসেন। তারপরে সর্বমোট ২৩ ধাপে মোট ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা এসেছে।