নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :
রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা বৃন্দাবনপুর পাহাড়ী জমিতে বিভিন্ন জাতের আম গাছের বাগান । প্রচুর পরিমাণ আমের ফলন হয়েছে । উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের এয়াসিন নগর এলাকার আল্লামা শায়েস্তা খান আজহারী মাইজভান্ডারী ও তার আত্মীয় আবুল কালাম চৌধুরী গত কয়েক বছর পূর্বে ৮ একর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছের চারা দিয়ে শুরু করেন।
খাগড়াছড়ির ফল বাগানের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক এনে আম বাগানের পরিচর্যা করে। ৮ একর পাহাড়ী জমিতে ১ হাজার ১ শ বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছের চারা রোপণ করা হয় ।
পাহাড়ি জমিতে আম বাগানের আম গাছে এ বছর প্রচুর ফলন হয়েছে। আল্লামা শায়েস্তা খান আজহারী মাইজভান্ডারী বলেন, বাগানের আম একজন ফল ব্যবসায়ীর কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রয় করা হয় । ফল ব্যবসায়ী বাগান থেকে আম নিয়ে চট্টগ্রাম শহর ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় ফল ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রয় করে।
ব্যবসায়ী ফল বিক্রয় করা টাকা থেকে দু দপে একলাখ টাকা দেয় । গত কয়েকদিন পূর্বে বাগানের আম ক্রয়কারী ফল ব্যবসায়ী বাগান থেকে কিছু না বলে চলে যায় । ফল ব্যবসায়ী বাগান ফেলে চলে যাওয়ার পর আম বাগানের আম গাছ থেকে পাকাঁ দু মেট্রিক টনের বেশী গাছ থেকে পড়ে নষ্ট হয়ে যায় ।
বর্তমানে আম বাগানের আম গাছ থেকে আম লোকজন দিয়ে প্রতি কেজি ৩৫ টাকা করে ফল ব্যবসায়ী ও এলাকার লোকজনের কাছে বিক্রয় করা হচ্ছে । বৃন্দাবনপুর পাহাড়ী এলাকায় আম বাগানের আম গাছ থেকে আম ছিড়ে বিক্রয় কারী কর্মচারী রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর ওসাটিলার বাসিন্দা উসা ও মারমা বলেন, আম বাগান থেকে এ পর্যন্ত দু মেট্রিক টন আম বিক্রয় করা হয়েছে । বাগানে আরো ৮ থেকে ১০ মেট্রিক টন আম রয়েছে । ১০ জন উপজাতীয় সম্প্রদায়ের কর্মচারী আম বাগানের আম গাছ থেকে আম ছিড়ে বিক্রয় করার জন্য মজুদ কাজে নিয়োজিত রয়েছে । এলাকার বিভিন্ন লোকজনকে বিষমুক্ত পাকা আম ছিড়ে বিনা মুল্যে খেতে দিচ্ছে বাগানের মালিক আল্লামা শায়েস্তা খান আজহারী।