বাংলা সাহিত্যে প্রাতঃস্মরণীয় কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী

উচ্চারকের অনুষ্ঠানে মেয়র

দেশের অন্যতম প্রধান বাচিক সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের আয়োজনে একুশের প্রথম কবিতার রচয়িতা কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী’র ৯৬তম জন্মোৎসব পালিত হয়েছে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। ‘কাঁদতে আসিনি …’ শিরোনামে এই আবৃত্তি ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মাহফুজা আক্তার ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।
অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য নির্দেশক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিমেল ইসহাক, কবি ও বাউল তাত্ত্বিক গবেষক স্বপন মজুমদার ও কবি এবং উচ্চারকের শুভানুধ্যায়ী পরিষদ সদস্য মো. সালাহউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উচ্চারক সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক ফারুক তাহের এবং সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী এ এস এম এরফান
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী একজন বাঙালি রেনেসাঁ পুরুষ। তিনি বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশের ক্ষেত্রে যে ভূমিকা রেখে গেছেন, তা আমাদের জন্য প্রাত:স্মরণীয় হয়ে আছে। তাই তাঁর অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনটি তাঁর নামে নামকরণ করেছে। নুতন প্রজন্মের কাছে তাঁর আপোষহীন সংগ্রামী চেতনা তুলে ধরতে হলে, তাঁর সৃষ্টি ও কর্মের আরো ব্যাপকহারে চর্চা করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মাহফুজা আক্তার বলেন, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ক্রান্তিকালে কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী একজন প্রান্তিক নাগরিক হয়েও জাতীয় নাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
দেশ ও জাতির জন্য তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, তার জন্য তিনি কিংবদন্তি হয়ে আছেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী একুশের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’র মতো কবিতা রচনা করে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনকে যেভাবে তরান্বিত করেছিলেন, তা আজও ইতিহাস হয়ে আছে। বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসে তিনি এক অমর নায়ক। অনুষ্ঠানে কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীর কবিতা আবৃত্তি করেন, বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, বনকুসুম বড়–য়া, মছরুর হোসেন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, অনির্বাণ চৌধুরী, তৈয়বা জহির আরশী, উমেসিং মারমা, মাহফুজা হক ¯িœগ্ধা, সোহান আল মাফি, সানজিদা রশীদ।
উচ্চারকের শিল্পীদের মধ্য থেকে আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী সজল চৌধুরী, মৌসুমী চক্রবর্তী, এ্যানি চৌধুরী, শামীমা ইয়াছমিন, দিপা দাশ মিতু, পুণম দত্ত, রোকসানা আফরিন, হামিদ উদ্দিন ও শিশুশিল্পী অর্পিতা চৌধুরী, জ্ঞানময়া বর্ধন, ফাবিহা তাহের আবৃত্তি। বিজ্ঞপ্তি