বর্জ্য অপসারণে কৌশলগত পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে

টিজি পরিদর্শনকালে মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীর আবর্জনা ও বর্জ্য মওজুদের নির্ধারিত দুটি স্থান (টিজি) থেকে স্তূপকৃত আবর্জনা ও মানব বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও কৌশলগত প্রয়োগ পদ্ধতি অবলম্বন করে স্থানগুলোকে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বান্ধব উপযোগী করে তোলা হবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার হালিশহর ও আরেফীন নগরে চসিকের ট্রাসিং গ্রাউন্ড পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এ দুটি স্থানে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অপসারিত প্রতিদিনের আবর্জনা ও মানববর্জ্য নিয়ে আসার ফলে জমা হওয়ায় এখন তা পাহাড়সম স্তূপে পরিণত হয়েছে। ফলে এলাকায় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। এখানে স্তূপকৃত বর্জ্য ও আবর্জনা সরিয়ে এগুলোকে শোধন করে জৈব সার ও জ্বালানি বা নিত্যব্যবহার্য অন্য কোন পণ্যে রূপান্তরে প্রযুক্তি ও সরঞ্জামগত সক্ষমতা চসিকের নেই। তাই আপাতত অন্য উৎস থেকে সেগুলো সংগ্রহ বা সাহায্য নিয়ে তা করার জন্য দ্রুত কৌশলগত প্রয়োগ-পদ্ধতির চিন্তা-ভাবনা কার্যকর করা হবে। এই বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় অগ্রাধিকার দিতে চাই এবং এর কার্যকারিতা অর্জনে এখন থেকে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি শুরু হলো।
মেয়র আরেফীন নগরে সিটি করপোরেশন পরিচালিত কবরস্থান পরিদর্শন করেন এবং এখানকার ব্যবস্থাপনাগত উন্নয়নে করণীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি সাগরিকায় চসিকের প্রধান স্টোর ও সংরক্ষণ গুদামের স্থান পরিদর্শনকালে বলেন, এই স্থানটি চসিকের বিশাল ভূ-সম্পদ। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালে তিনি এখানে ওষুধ, রঙ, বাল্ব, সার, ফিল্টারপানিসহ বেশ কিছু আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে অনেকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যেগুলো বন্ধ হয়েছে সেগুলোর প্রকৃত অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সম্ভাব্যতা যাচাই পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, নিমতলায় এবং সাগরিকা মোড়ে চসিকের যে জায়গাগুলো আছে সেখানে একাধিক আয়বর্ধক প্রকল্প গড়ে তোলা সম্ভব। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভূমি মালিকানা নিয়ে মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২৩ নম্বর রোডে বিএমডিএফ এর অর্থায়নে নির্মিতব্য বাণিজ্যিক ভবন পরিদর্শনকালে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন শেষে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজে লাগানো হলে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, শাহেদ ইকবাল চৌধুরী বাবু, মো. আবদুল মান্নান, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, মির্জা ফজলুল কাদের, জয়সেন বড়ুয়া, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এস্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি