জনপ্রশাসন পদক পেল হাটহাজারী উপজেলা

ত্রিপুরা পল্লী বদলে দেওয়ায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাটহাজারী »

মোহাম্মদ রুহুল আমিন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (বর্তমানে চট্টগ্রাম চা- বোর্ডের উপ-সচিব) দায়িত্ব নিয়েই সরকারি সুবিধাসমূহ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে শত বছর ধরে সুবিধাবঞ্চিত হাটহাজারী উপজেলার পাহাড়ি এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুর্গম মনাই ত্রিপুরা পল্লী পাল্টে যেতে থাকে।
হাটহাজারী উপজেলার ১ নাম্বার ইউনিয়নের ফরহাদাবাদের পশ্চিমে (সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার) দূরের নিভৃত এক পল্লীর নাম ‘মনাই ত্রিপুরা’। সেই ত্রিপুরা পাড়ায় ‘আমার জেলা আমার শহর’ মডেল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে জেলা পর্যায়ে সাধারণ (প্রাতিষ্ঠানিক) ক্যাটাগরিতে ‘জনপ্রশাসন পদক ২০২০‘ পেয়েছে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়। যে উদ্যোগের পেছনের কারিগর ছিলেন হাটহাজারীর উপজেলার সাবেক ও বহুল আলোচিত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ আয়োজন। সেখানে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে জনপ্রশাসন পদক নেন হাটহাজারী উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে ছিলেন মোহাম্মদ রুহুল আমিন। মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় ‘আমার জেলা আমার শহর’ মডেল উদ্যোগ বাস্তবায়নের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় তিনি ইউএনও থাকাকালে। গত দু’সপ্তাহ আগে তিনি বদলি হয়ে চা বোর্ডের উপ-সচিব পদে যোগ দেন। বিদায়ী ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুপ্রভাতকে বলেন, হাট হাজারীর ইউএনও জনপ্রশাসন পদক-২০২০ পাওয়ায় আমার চেয়ে বেশি খুশি আর কেউ নয়। আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে, আমি যা করেছি তিনিও তাই করতেন বা আমার চেয়েও ভালো করতেন।”