চুয়েটে ‘সেরা গবেষণা প্রকাশনা’ অ্যাওয়ার্ড চালু : বিশ্ববিদ্যালয় হলো উদ্ভাবন ও জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ অনুষদভিত্তিক ‘সেরা গবেষণা প্রকাশনা’ অ্যাওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। গবেষণা খাতে চুয়েটের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, শিক্ষকদের আধুনিক ও উন্নত জ্ঞান-আবিষ্কার এবং ক্ষেত্র সৃষ্টিতে গবেষণা কাজে উদ্ধুদ্ধ করার নিমিত্তে পাঁচটি অনুষদের অধীন এই সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। এবার সেরা গবেষণা প্রকাশনা অ্যাওয়ার্ড নির্বাচন কমিটি কর্তৃক ২০১৯ সালের সেরা গবেষকগণ হলেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের অধীনে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রভাষক কে.এম. আশরাফুল ইসলাম, পুরকৌশল অনুষদের অধীনে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজ আক্তার মল্লিক, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু হাসনাত মোহাম্মদ আশফাক হাবীব, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. গোলাম হাফেজ এবং যন্ত্রকৌশল অনুষদের অধীনে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ভুঁইয়া।
এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে উক্ত অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
গবেষণা ও সম্প্রাসরণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহানের সঞ্চালনায় এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হলো উদ্ভাবন ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু। গবেষণা কাজের মাধ্যমে এই জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণ করা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অফ অ্যাক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। সরকার বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাঝে র‌্যাংকিং পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে। এই র‌্যাংকিংয়ে অবস্থান করে নিতে হলে গবেষণার দিকে আরো গুরুত্ব বাড়াতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই নতুন-নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, আবিষ্কার ও ক্ষেত্র তৈরি করতে গবেষণা কাজে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড চালু করেছি।’