চমেকে প্রথম টিকা প্রদান ৭ ফেব্রুয়ারি

চট্টগ্রামে করোনা ভ্যাকসিন আসছে কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে আগামীকাল রোববার প্রথম ধাপে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আসছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চট্টগ্রামে প্রথম ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামে রোববার প্রথম ধাপে ৪ লাখ ৫৬ হাজার করোনা ভ্যাকসিন আসবে। এসব ভ্যাকসিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে রাখা হবে। চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও’র তত্ত্বাবধানে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রেজিস্ট্রেশনের হিসাব মতে চাহিদা অনুযায়ী ইপিআই স্টোর থেকে সিটি কর্পোরেশন এবং উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চসিক প্রশাসকের নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশনের একটি কমিটি, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং ইউএনও’র নেতৃত্বে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘রোববারের মধ্যে টিকা আসলেও লিখিত কোনো নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায়ে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরুর সুযোগ নেই। মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেলেই এ কর্মসূচি শুরু করা যাবে।’
চট্টগ্রাম মহানগরে টিকাদান কর্মসূচি পালন করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং নগরের বাইরে সিভিল সার্জন কার্যালয়। নগরের প্রক্রিয়া জানতে কথা হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন,‘ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।’
নগরীর আর কোথায় ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, বন্দর হাসপাতাল, সাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম নেভি হাসপাতালে টিকা প্রদান করা হবে। এছাড়া আরও কিছু কেন্দ্রও চালু করা হবে।
তিনি আরো বলেন, করোনা টিকা প্রদানের জন্য চিকিৎসাকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ রোববার থেকে শুরু হবে।
উল্লেখ্য, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেসরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, গণমাধ্যমকর্মী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনীর সদস্যরাসহ প্রমুখ অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। প্রথম ডোজ দেয়ার দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।