চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থী দেড় লাখ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক »

অবশেষে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতি ও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে শুরু করতে না পারা এসএসসি পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১২ জন।

বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে দেখা গেছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের ৩০ হাজার ৩৭১ জন, মানবিকের ৫৯ হাজার ১৩৭ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৬০ হাজার ২০৪ জন। এরমধ্যে চট্টগ্রামের ১ লাখ ৫ হাজার ৯২০ জন, কক্সবাজারের ২৩ হাজার ৪৩১ জন, রাঙামাটির ৭ হাজার ৬৫৮ জন, খাগড়াছড়ির ৮ হাজার ৬৬০ জন এবং বান্দরবানের ৪ হাজার ৪৩ জন।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হলেও এবার সব বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। তবে এবার প্রশ্নের মান বণ্টনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যবহারিক রয়েছে এমন বিষয়গুলোতে ৪৫ এবং ব্যবহারিক নেই এমন বিষয়গুলোতে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ব্যবহারিক রয়েছে এমন বিষয়গুলোতে নৈর্ব্যত্তিক ২৫টি প্রশ্ন থেকে ১৫টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে, প্রতিটি প্রশ্নের মান এক করে। অপরদিকে সৃজনশীল ৮টি প্রশ্ন থেকে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ করে।

তিনি আরো বলেন, ব্যবহারিক নেই এমন বিষয়গুলোতে ৩০টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন থেকে ১৫টির উত্তর করতে হবে, প্রতিটির মান এক করে। অপরদিকে সৃজনশীল ১১টি প্রশ্ন থেকে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ করে।

এবারের পরীক্ষায় বিশেষ কোনো নির্দেশনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের গুজবে কান না দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত গুজবে কান না দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার হলে যথাসময়ে উপস্থিত হতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সকাল ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি কেউ বিলম্বে পৌঁছে তাহলে লিখিত আকারে বোর্ডকে জানাতে কেন্দ্র সচিবদের বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা করার পর থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস কমে এসেছে।