চট্টগ্রাম বন্দর ৯ ধাপ পিছিয়ে ৬৭তম

বৈশ্বিক করোনার প্রভাব র‌্যাংকিংয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক »
বৈশ্বিক করোনার প্রভাব পড়লো চট্টগ্রাম বন্দরের র‌্যাংকিংয়ে। কনটেইনার পরিবহনে বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ৯ ধাপ পিছিয়ে এখন ৬৭তম। ২০২০ সালের কনটেইনার পরিবহনের ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়। এর আগে ২০১৯ সালের কনটেইনার পরিবহনের ভিত্তিতে গত বছর প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ছিল ৫৮তম। বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের উপর এই র‌্যাংকিং করে লয়েডস কর্তৃপক্ষ।
লয়েডস তালিকায় দেখা যায়, ২০১০ সাল থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর ধাপে ধাপে উন্নতি করছিল। ২০১০ সালে প্রকাশিত তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৮৮তম। কিন্তু পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কনটেইনার পরিবহনে অগ্রগতি লাভ করায় ২০২০ সালে ৫৮ তম স্থানে উন্নীত হয়। তবে বৈশ্বিক করোনার প্রভাবে এবার ধাক্কা খেল চট্টগ্রাম বন্দর। এ ধাক্কা খাওয়ার তালিকায় প্রায় সব বন্দরই রয়েছে। তবে বরাবরের মতো শীর্ষ বন্দরগুলোর তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে চীনের বন্দরগুলো। শীর্ষ ১০টি বন্দরের মধ্যে ৭টি বন্দরই চীনের। প্রথম স্থানে চীনের সাংহাই বন্দর, দ্বিতীয় স্থানে আছে সিঙ্গাপুর, আর তৃতীয় স্থানে আছে চীনের নিংবো-জোশান বন্দর।
এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরের ধাপ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘গত বছর বিশ্বের বন্দরগুলোতে কনটেইনার পরিবহন কমে গিয়েছিল। আর এরই প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। গত বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত কনটেইনার পরিবহনে একটু ধীর ছিল। কিন্তু বছরের শেষ দিকে কনটেইনার পরিবহনের গতি বেড়ে গিয়েও র‌্যাংকিংয়ে এগুনো সম্ভব হয়নি। তবে এবার আমরা এগিয়ে যাওয়ার আশা করছি।’
তিনি আরো বলেন, গত বছর যেখানে ২৮ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। এবার ইতিমধ্যে আমরা ২৪ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করেছি। বছরের বাকি সময়ে আমরা ৩৩ লাখ পর্যন্ত কনটেইনার পরিবহন করতে পারবো।
সমুদ্র পথে কনটেইনার পরিবহনে নিয়োজিত শিপিং লাইনগুলো বলছে, করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে আমদানি-রপ্তানিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এর প্রভাব পড়েছে পণ্য উঠানামায়। এতে স্বাভাবিকভাবেই কয়েক ধাপ পিছিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। এই বন্দর দিয়ে যত পণ্য পরিবহন হয় তার ২৭ শতাংশ কনটেইনারে পরিবাহিত হয়। বাকি ৭৩ শতাংশই আনা-নেওয়া হয় কন্টেইনারবিহীন সাধারণ জাহাজে। সাধারণ জাহাজের (বাল্ক, ব্রেক বাল্ক ও ট্যাংকার) খোলে আমদানি হয় মূলত সিমেন্ট, ইস্পাত ও সিরামিক কারখানার কাঁচামাল এবং পাথর, কয়লা, ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্য।