খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
খাবারে উচ্চমাত্রার ট্রান্সফ্যাট হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। গতকাল শনিবার নগরের স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকতের সাম্পান হলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রজ্ঞা ও গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট, হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক ওরিয়েন্টশনে বক্তারা এ কথা বলেন।
ওরিন্টেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের’ ট্রান্স ফ্যাট প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর ডা. শেখ মোহাম্মদ মাহবুবুস সোবহান বলেন, ট্রান্স ফ্যাট কৃত্রিমভাবে তৈরি ক্ষতিকর ফ্যাট, যা বেকারি পণ্য, প্যাকেটজাত ও ভাজাপোড়া খাবারে থাকে। বিশ্বে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশই অসংক্রামক রোগ। দেশে অসংক্রামক রোগে ৫ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ মারা যায়, যা মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে হৃদরোগে মারা যায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৩০ জন, যা উদ্বেগজনক।
ডা. শেখ মোহাম্মদ মাহবুবুস সোবহান আরো বলেন, দেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের মূল ঝুঁকি সুষম খাদ্যগ্রহণে অসেচতনতা, তামাক গ্রহণ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলোরেস্টরল ও অতিরিক্ত ওজন। অসংক্রামক রোগে মৃত্যু কমাতে খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে বেশি ট্রান্সযুক্ত ও উচ্চমাত্রার লবণযুক্ত খাবার কমানোর পাশাপাশি শাকসবজি, ফল, আশঁযুক্ত উপকারী চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
ওরিন্টেশনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। সঞ্চালনায় ছিলেন ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার ছাবেরী। ট্রান্স ফ্যাটের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রজ্ঞার প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মাহমুদ আল শিহাব ও ভোক্তাদের করণীয় বিষয়ে ক্যাবের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর আহমদ একরামুল্লাহ আলোচনা করেন।
আলোচনা শেষে সৈয়দ আলমগীর সবুজকে আহ্বায়ক, হামিদ উল্লাহ ও রেজা মুজাম্মেলকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং প্রীতম দাশকে সদস্যসচিব করে ‘ভোক্তা অধিকার মিডিয়া অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠন গঠন করা হয়।