ক্রিকেট মাঠে অবিশ্বাস্য আচরণ সাকিবদের

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :

আবাহনী লিমিটেডকে বৃষ্টি আইনে ৩১ রানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এর আগে ঘটে গেছে কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা। আবাহনী ইনিংসের শুরুর দিকে আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় লাথি মেরে স্ট্যাম্প ভাঙেন সাকিব আল হাসান। পরে তিন স্ট্যাম্প তুলে আছাড় মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পরে মাঠ ছাড়ার সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও তর্কে জড়ান মোহামেডান অধিনায়ক।

প্রথম ঘটনা ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৫ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় আবাহনী। এরপর নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে লেগ বিফোরের আবেদন করেন সাকিব। মুশফিক ওই ওভারে ১ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন।কিন্তু আম্পায়ার সাকিবের আবেদনে সাড়া না দিলে লাথি মেরে স্ট্যাম্প মোহামেডানের অধিনায়ক। এরপর ওভার শেষে তিন স্ট্যাম্প উঠিয়ে আম্পায়ারের দিকে তেড়ে যান সাকিব। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি বাধায় খেলা স্থগিত হয়ে যায়। মাঠ ছাড়ার সময় ফের ঝামেলায় জড়ান সাকিব।  এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও বাকবিতন্ডা হয় সাকিবের। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের দিকে আঙুল তুলে তেড়েও যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সুজনও চুপ থাকেননি। ফলে তর্ক থামাতে দুই ক্লাবের খেলোয়াড় ও স্টাফদেরও মাঠে নামতে হয়।খবর বাংলানিউজের।

বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সাকিবসহ বাকি ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়ছিলেন। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সাকিবকে উদ্দেশ্য করে গালি দেন আবাহনীর কয়েকজন সমর্থক। সাকিবও তাদের পাল্টা গালি দেন। এসময় আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন সাকিবের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মেনে নিতে পারেননি। তিনি রাগে গজগজ করছিলেন।সাকিব যখন আবাহনী সমর্থকদের বকা দিচ্ছিলেন, তখন তার দিকে তেড়ে যান সুজন। তখন সুজনের সঙ্গে সাকিবের তর্ক লেগে যায়। খালেদ মাহমুদ সুজন ভেবেছিলেন, সাকিব তাকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলেছেন। কিন্তু সুজনকে পরে সাকিব বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, আবাহনীর সমর্থকেরা গালি দেওয়ায় তিনি তাদের পাল্টা বলেছিলেন। সুজনকে কিছু বলেননি। এরপর দুজনকেই নিজ নিজ দলের ক্রিকেটার ও স্টাফরা টেনে আলাদা করে।

এরপর বৃষ্টি হানায় খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। পরে খেলা শুরু হলে আবাহনীর সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ ওভারে ৭৬ রান। কিন্তু আবাহনী থামে ৪৪ রানে। উইকেট হারায় ৬টি। ১৮ বলে ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ এবং পারভেজ হোসেন মিলে তোলেন ৩৭ রান। ইমন বিদায় নেন ২৬ রান করেন। তবে ব্যাট হাতে আজ বেশ সফল সাকিব। করেছেন ২৭ বলে ৩৭ রান। যদিও মাঝে একবার জীবন পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি।

শেষদিকে ২২ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে মোহামেডানকে ১৪৫ রানের সংগ্রহে পৌঁছে দেন মাহমুদুল হাসান।বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়া মোহামেডানের শুভাগত হোম ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।